ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নির্মাণের পর উদ্বোধনও করা হয়েছে ১০ শয্যার মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র। তবে জনবল নিয়োগ না দেওয়ায় এটি এখনও চালু হয়নি। ফলে যে উদ্দেশে এই মা ও শিশু কেন্দ্র করা এর সুফল পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। কারণ পূর্ণাঙ্গ জনবল নিয়োগ হয়নি। ফলে রোগীরা কেন্দ্রে এলেও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। বাইরে থেকে ধারে চিকিৎসক এনে কোনও রকমে বহির্বিভাগ চালু রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ অধিদফতর ঝিনাইদহ সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ শহরের শোয়াইবনগর এলাকার কেন্দ্রটি ২২ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করা হয়েছে। এটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে পাঁচ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এ কেন্দ্রে দুই জন চিকিৎসক, একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, একজন ফার্মাসিস্ট, চার জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, একজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও একজন অফিস সহায়কসহ সেবাগ্রহণ নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় ওয়ার্ড বয় ও আয়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে না পারায় কেন্দ্রটি চালু হচ্ছে না।
কালীগঞ্জ ১০ শয্যার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, চিকিৎসক কামাল হোসেন রোগী দেখছেন। তিনি জানান, তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসেন। এই কল্যাণ কেন্দ্রে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিন দিন বসেন। গত বৃহস্পতিবার ১৭ জন রোগী দেখেছেন।
ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জাহিদ আহমেদ বলেন, জনবলের অভাবে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে উদ্বোধনের পর থেকেই তিনি অন্য জায়গা থেকে লোক এনে বহির্বিভাগ চালু রেখেছেন। সরকারিভাবে জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে, তা সম্পন্ন হলে চালু করা সম্ভব হবে।