শেরপুরের শ্রীবরদীর মুন্সিপাড়া থেকে সেলিনা আক্তার (২৪) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, সেলিনাকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী অভিযুক্ত স্বপন মিয়াকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২৮ মার্চ শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে। স্বপন মিয়া শ্রীবরদী উপজেলার মুন্সিপাড়া এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে। পরে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা শ্রীবরদী থানায় রেকর্ড করা হয়।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, গত তিন বছর আগে শ্রীবরদীর মুন্সিপাড়া এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়ার সঙ্গে ইজারাপাড়ার জমশেদ আলীর মেয়ে সেলিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় দুই লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। কিন্তু স্বপন মিয়া বেকার এবং নেশাগ্রস্ত হওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে কলহ লেগেই থাকতে। তাদের দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
এদিকে শুক্রবার ভোরে সেহরি খাওয়ার সময় শ্বশুরবাড়ির লোকজন সেলিনা তাদের ঘরের ধরনার সাথে ঝুলছিল বলে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
সেলিনা আক্তারের বাবা জমশেদ আলী বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। স্বপনরা, আমার নিষ্পাপ মেয়েটার জীবনটাই শেষ করে দিল। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার জাহিদ বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আর প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা হয়েছে। মরদেহ রিপোর্টে হত্যার আলামত পেলে মামলাটি হত্যা মামলায় রুপ নিবে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত স্বপন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।