স্বাধীনতার সব ক্রেডিট হাইজ্যাক (ছিনতাই) করে এক পরিবারের সম্পদ বানানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে তারা তাদের জমিদারি মনে করেছিল। জনগণকে তাদের প্রজাতন্ত্র বা ভাড়াটিয়া বানিয়েছিল। জনগণকে পায়ের তলায় রেখে ক্যাডারভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিল।’
জামায়াতের আমির বলেন, “৪৭ সালে দেশের স্বাধীনতা ছিনতাই হয়েছিল, ’৭১ সালের স্বাধীনতাও ছিনতাই হয়েছিল। মক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে জাতিকে পদে পদে ধোঁকা দিয়েছে তারা।”
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে জামায়াত ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পল্টন মোড়ে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির ও ড. হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, কামাল হোসেন, ড. আব্দুল মান্নান, ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পূর্ব সভাপতি মুজাফফর হোসেন প্রমুখ।
জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি কেন প্রশ্ন রেখে জামায়াতের আমির বলেন, ‘শেখ মুজিব কবে, কোথায় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন সেটি এদেশের কারও জানা নেই। ৭ মার্চ যদি শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা সংগ্রামে ডাক দিয়ে থাকেন, তাহলে ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে শেখ মুজিবুর রহমান নিজের বাসভবনে কেন পাকিস্তানের পতাকা ঝুলিয়েছেন? তৎকালীন ছাত্ররা সেই পতাকা খুলে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ঝুলিয়ে দিয়েছিল। পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে কেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক থাকতে পারলেন না। কেন তার স্বীকৃতি নেই?’
তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবকে কারা হত্যা করেছে? স্বাধীনতার স্বপক্ষের সেনা সদস্যরা হত্যা করেছে। কেন করেছে? কারণ শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে বেরিয়ে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদের যাত্রা শুরু করেছিলেন। তার কন্যাও পরবর্তী সময়ে ভারতের তাঁবেদারি করতে এদেশের আলেম-ওলামা, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক সাধারণ জনগণকে হত্যা করছেন।’
সমাবেশ শেষে শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে বিজয় র্যালি পল্টন মোড় থেকে বায়তুল মোকাররম হয়ে পুনরায় পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। বিজয় র্যালিতে লক্ষাধিক মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে, ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মো. সেলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে সকাল ১০টায় উত্তরার চৌরাস্তা জমজম টাওয়ারের সামনে থেকে শুরু হয়ে আজমপুর এসে আলোচনার মাধ্যমে শেষ হয়। অপরদিকে, সকাল ৯টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য র্যালি করেছে ছাত্রশিবির। র্যালির নেতৃত্ব দেন ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।
খবরের কাগজ