ads
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

স্বাস্থ্য খাতে বছরের আলোচিত ঘটনা

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৫৩ বার পঠিত

চিকিৎসা মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। মৌলিক অধিকারের বেহাল দশা নিয়ে বছরজুড়েই আলোচনা ও সমালোচনা ছিল তুঙ্গে। চিকিৎসা খাতে অবকাঠামো ও ক্রয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি, রোগী ভোগান্তি, আইসিইউ সংকট, করোনার নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতি, মাস্ক কেলেঙ্কারিসহ চিকিৎসার নামে মানসিক হাসপাতালে ধস্তাধস্তি করে রোগীকে হত্যা করার ঘটনাও ঘটেছে। করোনা মহামারির সময়ে স্বাস্থ্য খাতের বেহাল দশা সরকার ও জনগণের সামনে এলেও স্বাস্থ্য খাতকে এখনও ঢেলে সাজানো হয়নি। ফলে ভবিষ্যতেও স্বাস্থ্য খাতে এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও রোগী ভোগান্তির পুর্নরাবৃত্তি ঘটবে বলে জানান জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্যখাতের সংশ্লিষ্টদের মতে, সারা দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশা। এই বেহাল দশা একদিনে গড়ে ওঠেনি। বছরে পর বছর হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। করোনাভাইরাসের সময়ে স্বাস্থ্যখাতের বেহাল দশা ফুটে ওঠে। এখনও দেশের প্রতিদিনই কোনো না কোনো হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কিন্তু রোগীর হয়রানি দূর করতে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংস্থা দুটি দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখেনি। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ইচ্ছেমতো রোগীর কাছ থেকে টাকা আদায় করছে। তবে করোনা মহামারির সময়ে স্বাস্থ্যখাতে যে বেহাল দশা প্রকাশ পেয়েছে তা একমাত্র মিডিয়ার কল্যাণে।

স্বাস্থ্যখাতের বেহাল দশা নিয়ে চলতি বছরে বহু আলোচিত ও সমালোচিত ঘটনাগুলো হলো:

করোনার নমুনা পরীক্ষায় ভুয়া রিপোর্ট: করোনাভাইরাসের মতো মহামারির সময়েও মানুষ অনিয়ম ও দুর্নীতি থেকে পিছুপা হয়নি। গত ২৩ জুন করোনার নমুনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট তৈরির অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। একই অভিযোগে গত ১২ জুলাই জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ও জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে তেজগাঁও থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। রিমাণ্ড শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

করোনার নমুনা পরীক্ষায় সরকারের শর্ত ভঙ্ক ও ভুয়া রিপোর্ট: করোনার নমুনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট ও সরকারের সঙ্গে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে রিজেন্ট হাসপাতাল। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করে। সেই মামলায় ৯ দিন পলাতক থাকার পর ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাবের একটি দল। সর্বশেষ ২৩ আগস্ট সাত দিনের রিমান্ড শেষে সাহেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।

নকল মাস্ক সরবরাহ কেলেঙ্কারি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে ২৪ জুলাই আওয়ামী লীগ নেত্রী শারমিন জাহানকে গ্রেপ্তর করে ডিবি পুলিশ। পরে রিমান্ড শেষে ২৮ জুলাই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে ২০ হাজার ৬০০টি এন-৯৫ নয় নকল মাস্ক সরবরাহ করে জেএমআই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও এমডি মো. আব্দুর রাজ্জাক। নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম সরবরাহে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গ্রেপ্তার করে রাজ্জাককে।

করোনায় মৃত ব্যক্তিকে হাসপাতাল থেকে কাফনের কাপড় ছাড়াই হস্তান্তর: ২৬ জুলাই করোনায় মৃত ব্যক্তি মোখলেস উদ্দিন আহমেদের (৮৭) দাফনের জন্য সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে উলঙ্গ অবস্থায় হস্তান্তরের অভিযোগ ওঠে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালের বিরুদ্ধে। মৃতদেহের জন্য একটি চাদর দিতে অনুরোধ করে সেচ্ছাসেবকরা। দায়িত্বরত কর্মকর্তারা সেচ্ছাসেবকদের তখন বলেন, এটি তাদের সিস্টেমে নেই। তবে পরবর্তীতে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক (উন্নয়ন) ডা. মো. এনায়েত হোসেন শেখ বলেন এমনটি হওয়ার কথা নয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ি চালকের দুর্নীতি: করোনাকালীন মুহূর্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ নানা অনিয়মের অভিযোগ মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেন। তারই গাড়িচালক আব্দুল মালেক ওরফে মালেক ড্রাইভার শত কোটি টাকার মালিক। মালেকের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি, চাঁদাবাজি, জাল টাকার ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর র‌্যাব  সংবাদ সন্মেলনে জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ী চালক আব্দুল মালেকের গ্রেপ্তার করেছেন তারা। সন্ধান মিলেছে মালেকের সম্পদের পাহাড়। ঢাকায় তার ২৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে। ধানমন্ডি, উত্তরাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বিলাসবহুল ৭ তলা তিনটি বাড়ি আছে। ছেলের নামে তুরাগে ডেইরি ফার্ম করেছেন কোটি টাকা দিয়ে। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২৭ জন আত্মীয়কে বিভিন্ন পদে চাকরিও দিয়েছেন তিনি। সাথে নিয়ন্ত্রণ করতেন স্বাস্থ্যের গাড়ির বাণিজ্য।

নবজাতক শিশুকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণার পর নড়েচড়ে ওঠা: গত ২০ অক্টোবর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) থেকে এক নবজাতককে মৃত ঘোষণা পর দাফনের সময়ে ওই শিশু নড়েচড়ে ওঠে। সেই নবজাতক দু’দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২২ অক্টোবর হাসপাতালে মারা যায়। ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ২৬ সপ্তাহের অপরিণত বয়সে ভূমিষ্ঠ হয়। সাধারণ মায়ের গর্ভে ২৮ সপ্তাহ পার হলে শিশু বেঁচে থাকার মত পরিপূর্ণ বয়স পায়। তবে ওই শিশুটি স্বাভাবিক অবস্থায় জীবিত থাকার আগের বয়সেই ভূমিষ্ঠ হয়। ভূমিষ্ঠ হবার পর চিকিৎসক, নার্স নিয়ম অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ করেছে। তবে নবজাতকটির সাইন অব লাইফ পায়নি। ঘণ্টা খানেক অবজারভেশনেও রাখা হয় নবজাতকটিকে। এরপরই মৃত ঘোষণা করে স্বজনদের কাছে দেওয়া হয়। এরপরও ৪/৫ ঘণ্টা নবজাতকটি তাদের কাছেই ছিল। পরে দাফনের জন্য নিয়ে গেলে সেখানে নড়েচড়ে উঠলে আবারো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্টে রাখলেও বাঁচানো যায়নি।

মানসিক হাসপাতালে পুলিশের এএসপিকে হত্যা: গত ৯ নভেম্বর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়ে হাসপাতালটির কর্মচারীদের মারধরের পর নিহত হন পুলিশের এএসপি আনিসুল করিম শিপন। হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও হাসপাতালটির পরিচালক ফাতেমাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

সারা দেশে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বেহাল দশা: করোনা মহামারির সময়েও সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোর বেহাল দশা কাটেনি। চিকিৎসা নিতে এসে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা। ঢাকাসহ সারা দেশেই এখনো আইসিইউ সংকট রয়েছে। রাজধানীর বাইরে আইসিইউ তো সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া জেলা সদরের অধিকাংশ হাসপাতালই চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী সংকটে। অধিকাংশ হাসপাতালে আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। যেগুলো রয়েছে সেগুলোও দিনের পর দিন বিকল হয়ে আছে। হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর সমস্যা সমাধানের যেন কেউ নেই। ফলে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ।

বছরজুড়ে স্বাস্থ্যখাতের কেলেঙ্কারির বিষয়ে সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক ও আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ আরটিভি নিউজকে বলেন, স্বাস্থ্যখাতের বেহাল দশার পেছনে ছোটখাটো নয়, সমস্যা অনেক বড়। সমস্যা সমাধানে সরকারকে বড় পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারির সময়ে স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজাতে পারলে ভাল হতো। ঢেলে সাজাতে কয়েকটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের রোগপ্রতিরোধে বিরাট ঘাটতি রয়েছে, করোনাভাইরাসের মতো কোনো রোগ আসলে সেটির প্রতিরোধে কোনো পরিকল্পনা নেই।

অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যেসব সরকারি হাসপাতাল রয়েছে সেগুলোর অবস্থা বেহাল। হাসপাতালে যারা ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকেন তাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। দেশে-বিদেশে ম্যানেজারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতালে জনবলের বিশাল ঘাটতি আছে। প্রতিটি হাসপাতালে চিকিৎসক, ওয়ার্ড বয়, নার্সের ঘাটতি আছে। জনবলের ঘাটতি পুরন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো মানবসেবায় নিয়োজিত নয়। এসব প্রতিষ্ঠান মুনাফা লাভের আশায় ব্যবসা করছে। সেজন্য এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিককে সেবাখাত হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। প্রয়োজনে আইন করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেবাখাতের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে যে ইচ্ছে সেই যেন হাসপাতাল বা ক্লিনিক তৈরি করতে না পাওে তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। হাসপাতালে চিকিৎসা খরচের ব্যয়ভার যেন আমাদের গরিব মানুষ দিতে পারে সেই অনুযায়ী ফি নির্ধারণ করতে হবে। কেউ যেন নির্ধারিত ফি’র বেশি না নিতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে বিচার বিভাগের মতো শুধু স্বাস্থ্যখাতের অনিয়েমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মুখ্য জনগণের সেবা দেওয়া মুনাফা লাভের নয়।

সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার বেহাল দশার বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. শাহ মনির হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, স্বাস্থ্যখাতে বেহাল দশা দূর করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে অনিয়ম, দুর্নীতি, রোগী ভোগান্তির বিষয়গুলো নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। কারণ স্বাস্থ্য খাত এমন একটি খাত যেখানে প্রতিটি মানুষের সেবা নিতে হয়। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে একজন চিকিৎসক স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে থাকেন। এজন্য অন্য খাতের তুলনায় স্বাস্থ্যখাতের দিকে সরকারকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সরকারের পক্ষ থেকে মনিটরিংয়ের অভাব রয়েছে, যার চূড়ান্ত দৃশ্য করোনাভাইরাসের সময়ে জনগণের সামনে ফুটে উঠেছে। সরকার যত দ্রুত স্বাস্থ্য খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে ততই জনগণের জন্য মঙ্গল। স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এই খাতে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু শহরভিত্তিক হাসপাতালগুলো নজরদারি বাড়ালে এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না। স্বাস্থ্য খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তৃণমূল পর্যন্ত শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102