পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে। এবার এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন শিক্ষক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। পল্লী বিদ্যুতের সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার স্বৈরাচারের মতো আচরণ করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা প্রকৃত কাজ করে তাদের দাবি দাওয়া না শোনার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুনবে না তারা। তারা যা বলবে সেটাই মানতে হবে। এ যে স্বৈরতন্ত্র, দুর্নীতি, মানুষের ওপর জুলুম নিপীড়ন ও চাপিয়ে দেওয়ার মানসিকতা এগুলোর বিরুদ্ধেই ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। কিন্তু এখনো যদি আগের মতোই চলতে থাকে তাহলে পরিবর্তন কোথায়? এ সরকারের চেহারা তো ভিন্ন রকম হতে হবে। গত ৯ মাসে পরিবর্তনের লক্ষণগুলো দেখছি না।
পল্লী বিদ্যুতের দাবিগুলো যৌক্তিক মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখন দেখা যায় যমুনায় গেলেই দাবি-দাওয়াগুলো মানা হচ্ছে। অথচ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, শ্রমিক, শিক্ষক তারা যখন শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দাবি-দাওয়াগুলো উপস্থাপন করছে তখন তা মানার কোনো লক্ষণ দেখছি না। তাদের কথাগুলো শোনার বা বিবেচনা করার কেউ নাই। এটার জন্য গণঅভ্যুত্থান হয় নাই। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৭ দফা দাবি সঙ্গে সংহতি জানান তিনি।
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দশদিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে সারা দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শনিবার থেকে গ্রাহকের অভিযোগ গ্রহণ না করাসহ দুই দফা কর্মসূচি দিয়েছে আন্দোলনরতরা।
আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কারের ন্যায্য দাবি আদায়ের কোনো ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় আগামী শনিবার সারা দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নিম্নবর্ণিত কর্মসূচি পালন করবে- শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি জরুরি ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে আগের মতো সারা দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি চলমান থাকবে। শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে সব অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল ফোন (উপকেন্দ্র ব্যতীত) নিজ নিজ অফিস প্রধান/সিনিয়র জিএম/জিএমের কাছে হস্তান্তর করে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।