অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ সোমবার এক বিবৃতিতে আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান এই প্রতিবাদ জানান।
লোহাগাড়ায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশলোহাগাড়ায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
তারা বলেন, শেখ মুজিব এবং হাসিনা তাদের শাসনামলে দুঃশাসন ছাড়া দেশকে আর কিছুই দেয়নি। বিশেষত হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার একের পর এক গণহত্যা চালিয়েছে। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের বিভীষিকাময় গণহত্যা আমরা আজও ভুলিনি। চব্বিশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনেও তারা নজিরবিহীন গণহত্যা চালিয়েছে। সীমাহীন অর্থপাচার ও লুটপাটের কবলে দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের সংগঠিত হওয়ার কোনো অধিকার নাই। তাদের রুখে দিতে হবে।
হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোরাল আহ্বান অবিলম্বে ১৫ আগস্টের সরকারি ছুটি বাতিল করুন। কোনো ফ্যাসিস্ট আইকনকে আমরা আর পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে দেব না। রাষ্ট্রীয় অর্থ-সম্পদ লুটপাট করে ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবের যতগুলো মূর্তি তৈরি করা হয়েছে সেগুলো ১৫ আগস্টের আগেই সরিয়ে ফেলে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করার ঈমানি দায়িত্ব পালন করুন।
আয়না ঘরে নেওয়া হয়েছিল নওশাবাকেআয়না ঘরে নেওয়া হয়েছিল নওশাবাকে
তারা আরো বলেন, দেশবাসীকে নির্মোহভাবে ফ্যাসিবাদের সকল শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অস্তিত্ব এবং এর পুনরুত্থানের সমস্ত শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে।
বিবৃতিতে হেফাজতের নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনঃসংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে অগণিত শহীদ ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে বেঈমানি করছেন। এখনো রাস্তায় শহীদের রক্তের দাগ শুকায়নি। অথচ তিনি ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের ভারতীয় এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নেমেছেন বলে মনে হচ্ছে। তার বক্তব্যে আমরা হতবাক। তিনি অবিশ্বস্ততার পরিচয় দিচ্ছেন বলে আমরা মনে করি। তার এখানেই থামা উচিত৷