ডাচ জাতীয় কর্মসংস্থান সংস্থা (ইউডাব্লিউভি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটির মতে, এই সংখ্যার মধ্যে নয় হাজার ২৮১টি ওয়ার্ক পারমিট আশ্রয়প্রার্থীদের দেয়া হয়েছে।
নেদারল্যান্ডসে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের পক্ষে কাজের অনুমতি পাওয়া অত্যন্ত সীমিত। শরণার্থী মর্যাদা পাওয়ার আগে আশ্রয়প্রার্থীরা সাধারণত ওয়ার্ক পারমিট পান না।
নিয়মিত এবং অনিয়মিত অভিবাসন মিলিয়ে নেদারল্যান্ডসে কঠোর আইন থাকায় দেশটির বিভিন্ন খাতে তীব্র শ্রমিক সংকট রয়েছে।
এসব ওয়ার্ক পারমিট এমন লোকদের দেওয়া হয় যাদের ইতিমধ্যে নেদারল্যান্ডসে থাকার অনুমতি রয়েছে। যেমন বিদেশি শিক্ষার্থী কিংবা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীরা।
এছাড়া যারা তিন মাসেরও কম সময়ের ভিসা নিয়ে নেদারল্যান্ডসে কাজের ভিসায় এসেছেন এমন অভিবাসীদেরও উল্লেখিত ওয়ার্ক পারমিট প্রদান করা হয়।
জাতীয় কর্মসংস্থান সংস্থার মতে, কাজের অনুমতি প্রদানের হার ২০২২ সালের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সাল থেকে এই হারে টানা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
২০২৪ সালে জারি করা ২০ হাজার ১৭২টি পারমিটের মধ্যে প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ নয় হাজার ২৮১টি আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য জারি করা হয়েছিল। এটি ২০২৩ সালের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি।
যাদের মধ্যে এক হাজার ৮৪০ জন ব্যক্তিকে কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল যারা তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলেন।
ডাচ সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই সরকারি কর্মসংস্থান সংস্থায়, ক্যাটারিং এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সেক্টরে কাজ করেন। যেগুলো মূলত কম বেতনের চাকরি।
ইউডাব্লিউভি-এর পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রতি পাঁচটি ওয়ার্ক পারমিটের মধ্যে একটি পরিচ্ছন্নতা খাতের সাথে সম্পর্কিত। ৮ শতাংশ ক্যাটারিং খাত এবং লজিস্টিক কাজের সাথে যুক্ত।
আগে নেদারল্যান্ডসে আশ্রয়প্রার্থীরা বছরে মাত্র ২৪ সপ্তাহ কাজ করার অধিকার পেতেন। এই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে ওয়ার্ক পারমিটের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের শেষের দিকে এই ব্যবস্থাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ইউডাব্লিউভির পরিচালক জুডিথ ডুভিন টেলিগ্রাফকে বলেন, “এই কাজটি আশ্রয়প্রার্থীদের ডাচ সমাজে একীভূত করতে সাহায্য করবে। এটির ফলে রেসিডেন্স পারমিট পাওয়ার আগের তাদের কাজের অভিজ্ঞতা থাকবে। যদিও এগুলো কম বেতনের চাকরি। উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য এটি বেশ কঠিন হতে পারে। এছাড়া কিছু পেশা যেমন টেকনিশিয়ান এবং নার্সদের যোগ্যতা যাচাই করতে কিছুটা সময় লাগে। কখনও কখনও তাদের অতিরিক্ত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়।”