ads
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

২০৬ বছরে এমন হামলা দেখেনি যুক্তরাষ্ট্র

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২১
  • ৩৭ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে (ক্যাপিটল বিল্ডিং) কংগ্রেস অধিবেশনে জো বাইডেনের নির্বাচনে জয়ের স্বীকৃতির প্রক্রিয়া চলছিল। এসময় সেখানে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিগত ২০৬ বছরেও এমন হামলার ঘটনা ঘটেনি। এর আগে অন্য দেশের হাতে যুদ্ধ চলাকালে এমন হামলা হলেও এবার এমন ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা খোদ মার্কিনদের হাতেই ঘটেছে।

এর আগে ১৮১৪ সালে ওয়াশিংটনে মার্কিন কংগ্রেসের ক্যাপিটল ভবনে হামলা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে যুদ্ধের সময়। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে ব্রিটিশ বাহিনীর এ যুদ্ধ ‘ওয়ার অব ১৮১২’ নামে পরিচিতি। এ যুদ্ধ শুরু হয় ১৮১২ সালের জুন মাসে; শেষ হয় ১৮১৫ সালে। আর সেই যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ বাহিনী হামলা করেছিল।

ইতিহাস বলছে, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল স্যার আলেকজান্ডার কুকবার্ন এবং মেজর জেনারেল রবার্ট রসের নেতৃত্বে ১৮১৪ সালের আগস্ট মাসে ক্যাপিটল ভবনে হামলা হয়। তখন ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আর ভবনটি তখন নির্মাণাধীন ছিল। কিন্তু ভাগ্য ভালো, সে সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই আগুন বেশি ছড়ায়নি।

বাইডেনের জয়ের স্বীকৃতির দিতে চলা অধিবেশনে হঠাৎ করেই ট্রাম্প সমর্থকরা সেখানে তাণ্ডব শুরু করে। ভাঙচুরের পাশাপাশি সেখানে গোলাগুলিও হয়েছে। এতে ওই নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ক্যাপিটল ভবন ঘিরে হামলা-সংঘাত-সংঘর্ষ চলাকালে যে ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, তিনি একজন নারী। ওই নারী ক্যাপিটল ভবনের ভেতরেই নিহত হন। তিনি ট্রাম্প-সমর্থক বলে মনে করা হচ্ছে।

বুধবার ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনের সামনে কয়েক হাজার ট্রাম্প সমর্থক কংগ্রেস অধিবেশনের বিরোধিতা করে জড়ো হন। সেই সমাবেশের বক্তব্যে নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজয় মেনে না নেয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এর পরেই অধিবেশনে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা ও সহিংস বিক্ষোভের মুখে ভবনটি অবরুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।

কয়েকশ ট্রাম্প সমর্থক ক্যাপিটল ভবনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের বাধা ভেঙে ক্যাপিটল ভবনে ঢুকে পড়েন। যাদের মধ্যে উগ্রপন্থি বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যরাও রয়েছেন। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদুনে গ্যাস ও পেপার স্প্রে ব্যবহার করে পুলিশ।

সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিনিধি পরিষদের (হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) সদস্যদের পাহারা দিয়ে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে পুলিশ। কয়েকজন ট্রাম্প সমর্থক আইনপ্রণেতার নির্বাচনের ফল বাতিলের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলার মধ্যেই সেখানে এই গোলযোগের সৃষ্টি হয়।

গোলযোগপূর্ণ এই পরিস্থিতিতে সিনেট অধিবেশনও মুলতবি করা হয়। যৌথ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করা ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকেও পাহারা দিয়ে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত আইনপ্রণেতাদের তাদের আসনের নিচ থেকে গ্যাস মাস্ক বের করে পরার পরামর্শ দেয়। হামলার ৩ ঘণ্টারও পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যয়নে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন ফের শুরু হয়।

ক্যাপিটল বিল্ডিং এর ভেতর থেকে বিস্ময় প্রকাশ করে মিশিগানের কংগ্রেস সদস্য হ্যালি স্টিভেন্স টুইটে লিখেছেন, “আমি আমার অফিসের এক জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছি। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে, এটা আমাকে লিখতে হচ্ছে।

নির্বাচনে পরাজয় নিয়ে বিক্ষুব্ধদের মধ্য থেকে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশের চেষ্টা করা হলে সামনের দিকে অবস্থানরত পুলিশ কর্মকর্তারা বন্দুক তাক করেন। এই পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বোয়ার্স সন্ধ্যা ৬টা থেকে শহরজুড়ে কার্ফ্যু জারি করেছেন।

মূলত ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের কাছে সমবেত কয়েক হাজার সমর্থকের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার পর এই গোলযোগ দেখা দেয়। বক্তব্যে ভিত্তিহীন পুরনো অভিযোগ ব্যাপক জালিয়াতির মাধ্যমে তার কাছ থেকে নির্বাচন ‘চুরি করে নেওয়া হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেন ট্রাম্প।

ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান উভয় দলের নির্বাচন কর্মকর্তা ও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকরা সবাই ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে তেমন কোনো জালিয়াতি না হওয়ার কথা বলেছেন। ওই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে ৭০ লাখের বেশি পপুলার ভোট পেয়েছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের নির্ধারক ইলেকটোরাল ভোটের হিসাবে ট্রাম্পের ২৩২টির বিপরীতে বাইডেনের পক্ষে আসে ৩০৬টি। এরপর দেশের বিভিন্ন স্টেটে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আদালতে গিয়ে বিফল হয় ট্রাম্প শিবির।

যেসব স্টেটে ট্রাম্প অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন সেই সব স্টেটের নির্বাচনের ফল বাতিলের জন্য তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্সকে চাপ দিচ্ছেন, যদিও তার এই ক্ষমতা নেই।

কংগ্রেসে স্বীকৃতির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। এক্ষেত্রে কিছু রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা অ্যারিজোনাসহ কয়েকটি স্টেটের ফল বাতিলের প্রস্তাব তুললে তা কয়েক ঘণ্টার আলোচনার রসদ জোগাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102