প্রায় ২৫ বছর আগে পুলিশের ধর্ষণের শিকার ও পরে নির্মমভাবে খুন হন দিনাজপুরের কিশোরী ইয়াসমিন।
সে সময় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা নাড়া দিয়েছিলো দিনাজপুরের মানুষকে। তীব্র প্রতিবাদের মুখে শাস্তির আওতায় আসে ঘাতকরা। প্রতি বছর দিনটিকে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করা হলেও কমেনি নারী ও শিশু নির্যাতন। এতে উদ্বিগ্ন নারী অধিকার কর্মীরা।
দীর্ঘদিন পর ছুটি পেয়ে সেদিন দিনাজপুরে মায়ের কাছে ফিরছিলেন গৃহপরিচারিকা ইয়াসমিন। তবে ঘরে ফেরা হয়নি ১৩ বছর বয়সী ইয়াসমিনের। বাড়ি পৌঁছে দেয়ার নামে তাকে ধর্ষণ করে কিছু পুলিশের কয়েকজন সদস্য। তারপর হত্যা করে মরদেহ ফেলে দেয় রাস্তার পাশে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসলে ফুঁসে ওঠে দিনাজপুরের মানুষ। ঘেরাও করে কোতোয়ালি থানা। এসময় পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে নিহত হন সামু, কাদের ও সিরাজসহ সাতজন। তারপর থেকেই দিনটি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
এখনো সেই ভয়াবহ সময়ের কথা মনে করে কাঁদেন ইয়াসমিনের মা শরীফা বেগম।
২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে কার্যকর হয় খুনিদের মৃত্যুদণ্ড। তবে ঘটনার ২৫ বছরেও থেমে নেই নারী ও শিশু নির্যাতন, বরং বেড়েছে কয়েকগুণ।
ইয়াসমিন হত্যার প্রতিবাদ কর্মসূচিতে প্রথম সারিতে ছিলেন তখনকার জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির নেতা, এখন দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। তিনিও চান আরও কঠোর হোক নারী নির্যাতন আইন।
ইয়াসমিন হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় করা দুটি মামলা থেকে তখনকার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও কোতোয়ালী থানার ওসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছে দিনাজপুর বিশেষ জজ আদালত। সে রায়ের বিরুদ্ধে কোনো আপিল হয়নি।