সারাদেশে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৪৮ হাজার শিক্ষকের টাইম স্কেল সংক্রান্ত রিটের রায়ের জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি রোববার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আজ বিষয়টি নিয়ে শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম এ কথা জানান।
ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম বলেন, আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ তিন সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষকের টাইম স্কেল সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ অনুযায়ী শুনানি শেষে আজ রায়ের দিন ধার্য করা হলো।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
সারাদেশে জাতীয়করণকরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার শিক্ষকের টাইম স্কেলের রিট মামলা তিন সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্ট বিভাগকে গত ১৩ জানুয়ারি নির্দেশ দেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
গত বছরের ১২ আগস্ট বেসরকারি থেকে সরকারি হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘টাইম স্কেল’-এর সুবিধা ফেরত দেয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সংক্ষুব্ধ শিক্ষকরা রিট করেন। তখন হাইকোর্ট বিভাগ পরিপত্র স্থগিত করে রুল জারি করেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ১৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট হাইকোর্ট আদেশ স্থগিত করেন। পরে স্থগিতাদেশ তুলে দিতে শিক্ষকরা আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ তিন সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে রিট মামলাটি নিষ্পত্তি করতে আদেশ দেন।
গত বছরের ১২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় একটি আদেশ জারি করে। ওই আদেশের মাধ্যমে প্রায় ৪৮ হাজার শিক্ষকের ক্ষেত্রে টাইম স্কেল বাতিল করে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। পরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৩১ আগস্ট হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতি রিট দায়ের করেন।
গত বছরের ৩১ আগস্ট ওই রিটের শুনানি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশটি ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের আদেশের অনুলিপি গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়সহ মামলার সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের পাঠানো হয়। কিন্তু এরপরও গত ২৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে পুনরায় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ৪৮ হাজার শিক্ষকের ক্ষেত্রে টাইম স্কেল বাতিল করে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেয়ার জন্য মহাহিসাব রক্ষক নিয়ন্ত্রককে নির্দেশ দেয়া হয়।