যশোরের বহুল আলোচিত সাবেক টাউন ইন্সপেক্টর (টিএসআই) রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ঝরনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে এবার মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সহায়তার অভিযোগে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দুদক যশোর সমন্বিত কার্যালয়ে উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে সাত কোটি ৩০ লাখ ৯ হাজার ৩৫২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক যশোর সমন্বিত কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আল-আমিন।
এরআগে গত ২১ আগস্ট আলোচিত রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ঝরনা ইয়াসমিনের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বাইরে পাঁচ কোটি ৯৪ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৫ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবারের মামলার বিবরণে জানা যায়, টিএসআই রফিকুল ইসলাম ১৯৮৭ সালে পুলিশে যোগদান করেন। এরপর ২০২৩ সালের ১৬ মে পর্যন্ত যশোরসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ছিলেন। এসময়কালে তিনি প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ উপায়ে আয় করেন। যা দিয়ে নিজের ও স্ত্রীর নামে যশোর, খুলনা, গোপালগঞ্জ, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্পদ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ গড়ে তোলেন। বিভিন্ন সময় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে টিএসআই রফিক ও তার স্ত্রীর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। তাদের সম্পদের বিবরণী পাওয়ার পর অনুসন্ধান শুরু করে দুদক যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে সাত কোটি ৩০ লাখ ৯ হাজার ৩৫২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
রফিকুল ইসলাম বর্তমানে ফরিদপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত বলে জানা গেছে।
মামলার বাদী দুদক যশোর সমন্বিত কার্যালয়ে উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন জানান, মামলার পর এবার তাদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্ত হবে।