পটুয়াখালীর দুমকিতে বিয়ের দাবিতে টানা ৯ দিন অবস্থান ও অনশনের পর অবশেষে প্রেমিকের সঙ্গেই বিয়ে হয়েছে প্রেমিকা মুক্তা রানীর (২২)।
হিন্দু ধর্মের বিয়ে রীতি অনুসরণ করে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে মুরাদিয়া গ্রামের অনিল সরকারের ছেলে প্রেমিক অসীম সরকারের (২৬) সঙ্গে সদর উপজেলার কাঁকড়াবুনিয়া গ্রামের সুভাষ হালদারের কন্যা প্রেমিকা মুক্তা রানীর (২২) বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এ প্রসঙ্গে বর অসীম সরকারের বাবা অনিল সরকার বলেন, উভয় পরিবারের সম্মতি ও আন্তরিকতার সঙ্গে এ বিয়ে হয়েছে এবং বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমরা পুত্রবধূকে ছেলের কর্মস্থল ভোলায় পাঠিয়ে দিই।
কনে মুক্তা রানী বলেন, অনেক প্রতিক্ষার পর আমি আমার স্বামীকে পেয়েছি। এর চেয়ে আমার আর চাওয়ার কিছু নেই, এতেই আমি খুশি। আমরা যেন সুখে-শান্তি সংসার করতে পারি এবং আমাদের দাম্পত্যজীবন সুখের হয় তার জন্য আপনারা দোয়া করবেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, শেষপর্যন্ত এখানেই মেয়েটির বিয়ে হয়েছে, এতে আমরা সবাই-ই খুশি হয়েছি। সুখে-শান্তিতে ওদের সংসার চলুক, এই কামনাই রইল।
এ ব্যাপারে দুমকি থানার ওসি মো. আবদুস সালাম জানান, উভয় পরিবারের সম্মতিতে এবং সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে মঙ্গলবার রাতে প্রেমিক অসীম সরকার ও অনশনরত প্রেমিকা মুক্তা নারীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ (ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রেমিক অসিম সরকারের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে প্রেমিকা মুক্তা রানী। এরপর প্রেমিক অসীম সরকার গা ঢাকা দেয় এবং মুক্তা রানী তার পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। টাকা দিয়েও বিষয়টি মিটমাটের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু মুক্তা রানী বিয়ের বিষয়ে অনড় থাকায় শেষপর্যন্ত বিয়ের পিঁড়িতে বসে সমস্যার সমাধান করতে হয় প্রেমিক অসীম সরকারকে।