একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-৩ (শ্রীবর্দী-ঝিনাইগাতি) আসনে এবার লাড়াই হবে চাচা-ভাতিজা সাথে। এবার এখান থেকে মহাজোট তথা আওয়ামীলের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল হক চান।
অপরদিকে চানের ভাইয়ের ছেলে ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল। তারা উভয়ই দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বুধবার স্থানীয় সহাকারী রিটানিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
জানাগেছে, ইতিপূর্বে ফজলুল হক চান নৌকা প্রতীক নিয়ে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার আরেক ভাতিজা স্বতন্ত্র প্রার্থী হেদায়েতুল ইসলামের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ৯৬ হাজার ২৩৪ ভোটে বিজয়ী হন। হেতায়েতুল পেয়েছিল ৮ হাজার ৫৪৮ ভোট। এর আগে
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রথম বার ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ভাতিজা মাহমুদুল হক রুবেলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ১ লাখ ৬ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। সেবার রুবেল ভোট পায় ৬৫ হাজার ৭৫৩ ভোট।
২০০১ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের এম এ বারীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মাহমুদুল হক রুবেল ৮৬ হাজার ৭৮৫ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। এসময় বারী ভোট পেয়েছিলেন ৫৮ হাজার ৩৯৬ ভোট।
সে হিসেবে এবার দীর্ঘ ১৭ বছর পর আবারও চাচা ভাতিজা মুখোমুখি হয়েছেন। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ন আর তেমন কোন প্রার্থী না থাকায় এবার মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে চাচা-ভাতিজার। স্থানীয় ভোটাররাও মুখিয়ে আছে চাচা-ভাতিজার লড়াই দেখার জন্য।
এ আসন থেকে চাচা ফজলুল হক চান নৌকা প্রতীকে ২ বার এবং ভাতিজা রুবেল দুই বার ধানের শীষ প্রতীকে এবং ১ বার সতন্ত্রসহ ( প্রয়াত সাংসদ সদস্য বাবা ডা. সেরাজুল হক এর মৃত্যুরপর উপ নির্বাচনে) মোট ৩ বার নির্বাচিত হয়েছেন।