বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যেই দেশের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে পৌঁছে যাবে। টোকিও ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম নিক্কেই এশিয়ান রিভিউকে দেয়া সাক্ষাৎকারে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়। এসময় রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কথা বলেন শেখ হাসিনা। মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে বিশ্ব স¤প্রদায়ের প্রতি আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের সা¤প্রতিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টোকিওভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ান রিভিউকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন ফের নির্বাচিত হলে বাংলাদেশে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। শেখ হাসিনা বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরেই প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ২৫ শতাংশে পৌঁছাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এশিয়ার দ্রুততম ক্রমবর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। তাঁর সরকারের নেয়া বিভিন্ন নীতিমালার কারণে এই অগ্রযাত্রা। ২০২৪ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকেও বের হবে বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনা জানান, বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে আগামী বছরই দ্বিতীয় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ। এটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলে স্থাপন করা হতে পারে।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছিলো বাংলাদেশ। তবে তাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের প্রতি আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাধানের পথ খুঁজতে তাগিদ দেন বিশ্ব সম্প্রদায়কে।