আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে লড়তে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন ১০ প্রার্থী। আসনটিকে ঘিরে নির্বাচনী মাঠে লড়বেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিজেপি ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের প্রার্থীরা। গুরুত্বপূর্ণ এই আসনটিকে ঘিরে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই।
এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অভিনয়শিল্পী আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। সিংহ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনবারের সংসদ সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেছেন, ‘সিংহ যেমন বনের রাজা, আমিও তেমনি গুলশানের রাজা হতে চাই। সিংহ কখনও পরাজিত হতে পারে না।’
একই সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রেসিডেন্ট আন্দালিব রহমান পার্থ। বর্তমান সংসদ সদস্য এস এম আবুল কালাম আজাদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে।
অবশ্য গুলশান-বারিধারা-শেখেরটেক এলাকার সংসদ সদস্য হওয়ার লড়াই থেকে শেষদিনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বিকল্পধারার প্রার্থী মাহী বি চৌধুরী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা-৫ আসন ভেঙে ২০০৮ সালে সৃষ্টি করা হয় ঢাকা-১৭ আসনটি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আসনটির প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালের নির্বাচনে আসনটি থেকে নির্বাচিত হন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের প্রেসিডেন্ট এস এম আবুল কালাম আজাদ। এবারের আসন্ন নির্বাচনে মহাজোটের একক প্রার্থী না থাকায় লাঙল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
তবে ৫০টি আসনের প্রত্যাশা থাকলেও মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টি ২৯টি আসন পাচ্ছে। ২৯টির একটি এই আসন। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর ঢাকা-১৭ আসনে দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়েছে। দলটি জানাচ্ছে, ‘অসুস্থ’ এরশাদ নিজে মাঠে নামতে না পারলেও তার পক্ষে এই প্রচারের দায়িত্ব সামলাবেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী।