নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে গণভবন থেকে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধীতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শুরু করবেন আনুষ্ঠানিক প্রচারণা।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সকালে টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে ঢাকা ফেরার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড়, ফরিদপুর মোড়, রাজবাড়ী রাস্তার মোড়, পাটুরিয়া ঘাট, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, ধামরাই রাবেয়া মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও সাভার বাসস্ট্যান্ডে নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ২০টি জেলায় নির্বাচনী সফর করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, টুঙ্গিপাড়া সফর শেষে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবস, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস এবং ১৭ ডিসেম্বর আলোচনাসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি। এরপর ১৮ ডিসেম্বর থেকে ফের নির্বাচনী সফর শুরু করার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।
২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ২০টি জেলা সফরের পরিকল্পনা আছে। যেসব জেলায় সফর করার কথা রয়েছে, সেগুলো হলো- রংপুর, সিলেট, নড়াইল, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, চট্টগ্রাম, জয়পুরহাট, বগুড়া, যশোর, বাগেরহাট, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টুঙ্গিপাড়া সফরের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ ও সার্বিক দেখভালের জন্য মঙ্গলবার একটি অগ্রবর্তী টিম সেখানে যায়।
টিমের সদস্যরা হলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন প্রমুখ।