১৯৭১ সালে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই শস্য-শ্যামলা স্বাধীন বাংলাদেশ, পেয়েছি লাল সবুজের একটি পতাকা। এটা আমাদের বিজয় প্রতীক। আর সেই বিজয় দিবসকে লক্ষ্য করে রাজধানী ঢাকা লাল-সবুজের বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত হচ্ছে। আর মাত্র একটি রাত পরই গোটা বাঙালি জাতি মহোৎসবে পালন করবে ৪৮তম বিজয় দিবস।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলার দামালরা। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রাম শেষে লাখো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত হয় দেশ। স্বাধীন দেশে উত্তোলিত হয় লাল-সবুজের পতাকা। সেই বিজয় দিবসকে উদযাপন করতে রাজধানীর বিভিন্নে এলাকা লাল-সবুজের জাতীয় পতাকার রঙে সজ্জিত হচ্ছে।
১৪ডিসেম্বর রাত থেকে রাজধানীর সরেজমিনে মতিঝিল, পল্টন, রমনা, ধানমন্ডি, কলাবাগান, কারওয়ান বাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাইকোর্ট ও গুলিস্তান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ সরকারি ও ছোট বড় বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, শপিং মল ও বিপণি কেন্দ্রে লাল-সবুজ পতাকার রঙে বিশেষ আলোক সজ্জার সজ্জিত হচ্ছে। কোথাও কোথাও আলোকসজ্জায় সজ্জিত হলেও ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হওয়ায় আলো জ্বালানো হয়নি। ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা নামতেই বর্ণিল আলোর বন্যায় ঢাকার সর্বত্র ভাসবে।
আসন্ন ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের বিজয় দিবস বিশেষ গুরত্বপূর্ণ। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের সমন্বয়ে গঠিত ঐক্যফ্রন্ট পৃথক কর্মসূচির মাধ্যমে বিজয় দিবস পালন করবে। রবিবার (১৬ ডিসেম্বর) লাখো লাখো মানুষের ঢল নামবে রাজপথে। এদিকে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ওই দিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানচলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।