গত ১৩ ডিসেম্বর কুলিয়ারচর উপজেলার ওসমানপুর এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আক্রমণে পায়ে আঘাত পাওয়ার অভিযোগ করেন কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের বিএনপি প্রার্থী শরীফুল আলম।
ওই দিন ইটের আঘাতে তার পা ভেঙে দেয়া হয়। পরে ডাক্তাররা তাকে হাঁটা থেকে বিরত থেকে কয়েক দিন বিশ্রামে থাকতে বলেন। এবারের নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন। তাই বিশ্রাম বাদ দিয়ে তিনি নেমে পড়েছেন প্রচারে।
গত বুধবার থেকে তিনি ভাঙা পা নিয়েই কর্মীদের কাঁধে ভর করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। এর আগে ৫ দিন টেলিফোনে প্রচার চালিয়েছেন তিনি।
শরীফুল আলম কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক এবং কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
এবার তার সঙ্গে লড়ছেন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি এই এলাকার বর্তমান সংসদ সদস্য।
নাজমুল হাসান পাপন অনেক আগে থেকেই নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। ভৈরব ও কুলিয়ারচর এলাকার প্রতিটি গ্রাম-শহরে চষে বেড়াচ্ছেন তিনি।
কিন্ত শরীফুল আলম ও তার দলের নেতাকর্মীরা আশাতীত প্রচার করতে পারছেন না বলে তার অভিযোগ। ভৈরব কুলিয়ারচর বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর চলছে হামলা-মামলা। পুলিশের ভয়ে নেতাকর্মীদের অনেকেই এখন আত্মগোপনে।
এলাকায় বিএনপির প্রার্থীর পোস্টারও তেমন দেখা যাচ্ছে না। শরীফুল আলমের অভিযোগ-তার নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষের পোস্টার লাগালেই রাতের আঁধারে কে বা কারা ছিঁড়ে ফেলছে।
এ ছাড়া গত বুধবার রাতে কুলিয়ারচরে শরীফুল আলমের ৮টি নির্বাচনী ক্যাম্প ও অফিস ভেঙে দেয়ার অভিযোগ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
শরীফুল আলম জানান, আমি এখনও পর্যন্ত ভৈরবে প্রচার চালাতে পারছি না। আমার দলের নেতাকর্মীরা প্রচারে নামলেই ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া করে। পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের ভয়ভীতিতে রাখছে। এখন আল্লাহ ভরসা।
তবে জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারলে তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।