সেনাবাহিনীর সদস্যদের কিছুই করতে হবে না, তাদের শুধু ভোটের মাঠ টহল দিলেই চলবে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক মুক্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাবনা ও শঙ্কা’ শীর্ষক মুক্ত এই আলোচনা সভার আয়োজক নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাইদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ।
সেনা বাহিনীকে আরও আগেই ভোটের মাঠে মোতায়েন অনুরোধ জানিয়েছিলেন উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ১৫ ডিসেম্বর মাঠে সেনাবাহিনী নামাবার কথা বলেছিলাম, তখন তিনি বলেন- না একটু…। আমি তখন বললাম কেন সেনবাহিনী কি পথ-ঘাট চেনে না? তাদের কাছে গুগল ম্যাপ নেই? তারা কি বাংলাদেশের সন্তান নয়? এভাবে আপনারা সামরিক বাহিনীকে অপমান করতে পারেন না। তখন সিইসি বললেন, ২৪ ডিসেম্বর সেনাবাহিনী মোতাযেন করা হবে। আমি বললাম তাদের কিছু করতে হবে না, শুধু টহল দিলেই চলবে।’
ভোটাররা প্রতীক দেখে ভোট দেবে জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সড়কে-ভোটকেন্দ্রের আশপাশে পোস্টার থাকুক আর না থাকুক। জনগণ পছন্দের মার্কাতেই ভোট দেবে। আর সেই মার্কাটা হচ্ছে ধানের শীষ। ধানের শীষ বিএনপির মার্কা নয়। আজকে এটা জাতির মার্কা, ধানের শীষ গণতন্ত্রের মার্কা।
সেনাবাহিনী অনৈতিক কাজকে সমর্থন করে না উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সোমবার থেকে সেনারা মাঠে নামবেন। জনগণ আমাদের সেনাবাহিনীকে বিশ্বাস করে। তাদের প্রতি মানুষের আস্থা আছে। কারণ তারা কোনো অনৈতিক কাজকে সমর্থন করবে না।
ধানের শীষ পরিবর্তনের প্রতীক উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, একাত্তরে জয় বাংলা ছিল আমাদের স্লোগান। তেমনি এবার ধানের শীষ সবার স্লোগান। জাতির আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, পরিবর্তনের প্রতীক, পরিবর্তনের মার্কা ধানের শীষ।
ধানের শীষে ভোট দিতে জনগণ মনস্থির করে রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ তাদের মনস্থির করে রেখেছে।এবারের খেলাটা ভিন্নভাবে হবে। হাজারে, হাজারে, লাখে, লাখে মানুষ ভোট দিতে আসবে। ভোট দেবে যাকে পছন্দ তাকে। ভারতীয় এজেন্টদেরকে ভোট দেবে না তারা।
প্রধানমন্ত্রী কথা রাখেননি দাবি করে জাফরুল্লাহ বলেন, যে দেশে প্রধানমন্ত্রী কথা রাখেন না। সে দেশে নির্বাচন কমিশন কথা রাখবেন তা আশা করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা চেতনার রিফ্লেকশন হচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
শেখ হাসিনা অঙ্গীকারভঙ্গ করেছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছিলেন- সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চান না, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চান। জনগণ যাকে ইচ্ছা ভোট দেবে, জনগণ যদি চায় তাহলেই তিনি নির্বাচিত হবেন। কোনোভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করবেন না। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি।