কুমিল্লায় মামলার রায় পক্ষে পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চার সন্তানের মাকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে মামলার পর পুলিশ আনিছুর রহমান নামে এক আইনজীবী সহকারী ও আরেক আইনজীবীর বাড়ির দারোয়ান লিটন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে। জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার অধীন লালমাই উপজেলার শানিচোঁ গ্রামে এক আইনজীবীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও মামলার অভিযোগে জানা যায়, জেলার দেবিদ্বার উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের ৪ সন্তানের মা তার স্বামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে নারী নির্যাতনের মামলা করেন। এ মামলার রায় ওই মহিলার পক্ষে পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আদালতের আইনজীবীর সহকারী লালমাই উপজেলার শানিচোঁ গ্রামের ফজর আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম ওই নারীকে ২৮ ডিসেম্বর শানিচোঁ গ্রামের এক আইনজীবীর নির্জন বাড়িতে নিয়ে আসে।
সেখানে তাকে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকে রেখে জহিরুলসহ তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। অপর দুই ধর্ষক- ওই বাড়ির দারোয়ান বরিশালের মুলাদি উপজেলার কাজীরচর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে লিটন বিশ্বাস এবং আরেক আইনজীবীর সহকারী কুমিল্লা মহানগরীর আদালত সংলগ্ন কাপ্তান বাজার এলাকার আশেক আলীর ছেলে আনিছুর রহমান।
পরে বুধবার দুপুরে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন ওই নারী। সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই খাদেমুল বাহার জানান, এ মামলার এজাহার নামীয় আসামি আইনজীবী সহকারী আনছিুর রহমান ও বাড়ির দারোয়ান লিটন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।