একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নাফার।
তিনি বলেন, নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন প্রমান করে এদেশের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপির সংসদের কার্যালয়ে কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে একথা বলেন তিনি। জাতীয় সংসদের জনসংযোগ অধিশাখা থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সাক্ষাতকালে তারা দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তারা দুই দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প-সংস্কৃতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য, নারী ক্ষমতায়ন ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার গঠন এবং সংসদীয় রীতি-পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, ইরান বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। দুই দেশের সংস্কৃতি, ভাষা ও ধর্মীয় আচারের মিল রয়েছে—যা দুই দেশের জনগণের মাঝে দৃঢ় বন্ধুতের সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও সংসদীয় চর্চা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যেমে এ সম্পর্ক আরও গতিশীল হতে পারে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব-কারও সাথে শত্রুতা নয়’ নীতিতে বিশ্বাসী। সকলকে নিয়ে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে চায় বাংলাদেশ।
শিরীন শারমিন বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
স্পিকার বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সরকার বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা ভাতা, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে সমাজের দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
সুসাশন প্রতিষ্ঠা, দূর্নীতি প্রতিরোধ ও তথ্য প্রযুক্তি খাত বিশেষ করে সফটওয়্যার উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্পিকার ইরানের স্পিকার আলী লারিজানিকে এ সময় কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন এবং আইপিইউতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিকে সমর্থনদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও ইরান আইপিইউ ও পিইউআইসি’র সদস্য রাষ্ট্র। ইরান গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও জনগণের মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচন কৌশলের ভূয়সী প্রশংসা করেন।