প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণকে জনগণ সম্পূর্ণরুপে প্রত্যাখান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়ে যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি তার ভাষণে যারা তাকে ভোট দিয়েছেন এবং যারা দেননি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তার তামাশার ভাষণে জনগণের সাথে ঠাট্টা করেছেন। জনগণ, জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে সম্পূর্ণরুপে প্রত্যাখান করেছে।
আওয়ামী লীগ ১৩ সফলতায় বিজয়ী হয়েছে এবং বিএনপি’র সাতটি ব্যর্থতায় পরাজয় হয়েছে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভোটের আগের দিন রাতে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এখন তিনি জ্ঞানতাপস সেজে সফলতা-বিফলতার পরিসংখ্যান দিচ্ছেন। আর ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে জনগণ বিজয়ী হয়নি কিংবা আওয়ামী লীগও বিজয়ী হয়নি, বিজয়ী হয়েছে জনপ্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাথে গতকাল তার আত্মীয়স্বজনরা দেখা করতে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারাগারে খালেদা জিয়ার বাস করার জায়গাটির কোন পরিবর্তন হয়নি। অস্বাস্থ্যকর, স্যাঁতসেতে ও ধুলাবালিতে আকীর্ণ কক্ষটিতে তাকে বাস করতে বাধ্য করা হচ্ছে। বারবার এ বিষয়ে কারাকর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তারা ভ্রুক্ষেপহীন থেকেছে। বেগম জিয়ার সাথে যে আচরণ করা হচ্ছে সেটি অমানবিক ও দু:খজনক।
“আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব গত পরশু বলেছেন, বিএনপি ভেঙ্গে যাবে। গতকাল তিনি বলেছেন, বিএনপির পরিণতি মুসলিম লীগের দিকে যাচ্ছে কি না সে আশঙ্কা করছেন।” এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ তো ভেতর থেকে ভেঙ্গে চুপসে গেছে। সেখানে নানা পন্থী এবং সিনিয়র-জুনিয়র এর নানা ধারা। যে কারণে তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেনি, পুলিশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে রাতের আঁধারে জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করতে হয়েছে। পুলিশি ক্ষমতা যখন থাকবে না তখন তো আওয়ামী লীগের বাতি জ্বালানোর লোকও খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিএনপি’র মধ্যে কোন বিভেদ নেই। খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ। এই ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারেনি বলেই ওবায়দুল সাহেবের বুকে বড় জ্বালা।