শিক্ষার যে কোনো বয়স নাই, সেটাই করে দেখালেন বগুড়ার শফিকুল ইসলাম। বুড়ো বয়সে এসে নাতি-নাতনির বয়সী ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে পরীক্ষার আসনে বসেছেন তিনি।
শেরপুর উপজেলার হাপুনিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে এবার দাখিল পরীক্ষা দিচ্ছেন ৫২ বছর বয়সী শফিকুল।
শনিবার বগুড়ার শেরপুরের শালফা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে দেখা গেছে তাকে।
শফিকুলের তিন মেয়ে। সবাই লেখা পড়া করে। বড় মেয়ে অনার্সে পড়েন। মেঝো মেয়ে কলেজে আর ছোট মেয়েটি স্কুলে পড়ে।
জানা গেছে, ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের চান্দিয়ার গ্রামের মৃত সোনাউল্লাহ শেখের ছেলে শফিকুল ইসলাম।
নিজেকে শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে শেরপুর উপজেলার হাপুনিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া করে এ বছর দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।
পরীক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম জানান, পারিবারিক জীবনে আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে শেরপুর টাউনক্লাব মহিলা অনার্স কলেজে অনার্সে পড়ে, মেঝো মেয়ে ধুনট উপজেলার বিশ্বহরিগাছা কলেজে এবং ছোট মেয়েটি স্কুলে লেখাপড়া করে।
তিনি বলেন, পারিবারিকভাবে সবাই শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছে, তাহলে আমি কেন পিছিয়ে থাকবো।
কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মো. ইউসুফ আলী বলেন, আমার কেন্দ্রে ২১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে শফিকুল ইসলাম দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। তার এই দৃষ্টান্ত সমাজের স্বল্প শিক্ষিতদের জন্য অনুপ্রেরণা।