হারলেই বাদ এমন সমীকরণের ম্যাচে টস ভাগ্যটাও ছিল সাকিবের বিপক্ষে। কিন্তু ম্যাচ শেষ স্বস্তির হাসি অলরাউন্ডার সাকিবের মুখেই। চিটাগং প্রথমে টস জিতে নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করে। এই মামুলি লক্ষ্য তারা করতে নেমে ২০ বল আগে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ঢাকা ডায়নামাইটস।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত খেলেছে ঢাকা। পাওয়ার প্লে’তে ঢাকার সংগ্রহ ৫২ রান। সার্কেল সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে তারা। পাওয়ার প্লে’তে বড় অবদান সুনীল নারিনের। ১৬ বলে ৩১ রান করেন ক্যারিবীয়ান এই ওপেনার।
এর পরেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠা নারিনকে সাজঘরে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন খালেদ আহমেদ। ডানহাতি পেসারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল আকাশে তোলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এক্সট্রা কাভারে সহজ ক্যাচ নেন নাঈম হাসান। ১৬ বলে এক ছক্কায় ৩১ রান করেন নারিন। তারপর প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় রনি তালুকদার ও সাকিব আল হাসান। আউট হওয়ার আগে করে ১৩ বলে ২০ রান। এই দু ব্যাটসম্যান আউট হলেও ঢাকার রানের চাকা সচল রাখেন থারাঙ্গা। কিন্তু উপল থারাঙ্গা ৪৩ বলে ৫১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরলেও তখন ঢাকা প্রায় জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। এর আগে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে চিটাগং কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমেই আক্রমণাত্মক শুরু করেছিলেন চিটাগংয়ের ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্ট। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি তার সাথে প্রথমবারের মতো বিপিএলে ওপেনিংয়ে নামা ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি।
মাত্র ৮ রান করে দলীয় ২২ রানে ফিরে যান তিনি। এরপর নতুন ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলামকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ডেলপোর্ট। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে ভালো খেলতে থাকা ডেলপোর্টকে। ২৭ বলে ৩৬ রান করে ফিরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমেছিলেন দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি তিনি। মাত্র ৮ রান তুলতেই ফিরেছেন মুশফিক। সুনীল নারিনের বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তিনি। মুশফিকের বিদায়ের পর নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে সাদমানের সাথে জুটি গড়তে নেমেছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। কিন্তু মোসাদ্দেককে সঙ্গ দিতে পারেননি তিনে নামা ব্যাটসম্যান সাদমান। সুনীল নারিনকে সামনে এসে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। এরপরে নিয়মিত উইকেট হারিয়ে চিটাগং ভাইকিংস স্কোর বোর্ডে তুলেন ১৩৫ রান।