বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ১৮ লাখ টাকা দিয়ে মোহাম্মদ আশরাফুলকে দলে ভিড়িয়েছিলো মুশফিকুর রহিমের ভাইকিংস। কিন্তু এত অর্থ দিয়ে তাঁকে দলে টানলেও মাত্র ৩ টি ম্যাচ খেলানো হয়েছে সাবেক এই টাইগার অধিনায়কে।
আর এই তিন ম্যাচে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ তেমন একটি দিতে পারেননি তিনি। সর্বশেষ সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে গত ১ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে রান শুণ্য থেকে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেছেন আশরাফুল। ফলে এবারের বিপিএলে তাঁর রান সংখ্যা মোটে ২৫।
অথচ এই আশরাফুলই বিপিএল শুরুর আগে নিজেকে প্রমাণ করার প্রত্যয় জানিয়েছিলেন দীপ্ত কন্ঠে।
গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, এবারের বিপিএলে সুযোগ পেলে উইনিং পারফর্মেন্স উপহার দেয়ার চেষ্টা করবেন।
তিনি বলেন, ‘বিপিএলের আসরটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখানে অনেক বিদেশি এবং তারকা খেলোয়াড় আসবেন। সবকিছু মিলিয়ে টুর্নামেন্টটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রথম রাউন্ডে ১২টা ম্যাচ পাব। সেখানে ৫-৬ টাতে ম্যাচ উইনিং পারফরমেন্স করতে পারলে হয়তো আমার জন্য জাতীয় দলে আসা আরো সহজ হবে। তাই চিটাগং ভাইকিংস কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
অবশ্য আশরাফুল ভক্তরা প্রশ্ন তুলতেই পারেন যে এত অর্থ দিয়ে দলে নেয়া হলেও তাঁকে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলানো হলো কেন? অন্তত আরও কয়েকটি ম্যাচে তাঁকে সুযোগ দিতে পারতো ভাইকিংস টিম ম্যানেজমেন্ট।
তবে আশরাফুলের কপাল পুড়েছে দলের কম্বিনশনের কারণে তা বলাই বাহুল্য। তাঁর বদলী হিসেবে খেলতে নামা ডান হাতি ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি চৌধুরী ব্যাট হাতে নিজেকে প্রমাণ করেছেন দুর্দান্তভাবে। ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান এবারের টুর্নামেন্টে ষষ্ঠ সেরা রান সংগ্রাহক। ১১টি ম্যাচে ৩০৭ রান করা ইয়াসির হাঁকিয়েছেন ৩টি অর্ধশতক। খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে নিজের প্রথম ম্যাচেই ৩৪ বলে ৪১ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
এরপরেই টিম ম্যানেজমেন্টের বিবেচনায় বাকি ১০ ম্যাচ খেলেছেন ইয়াসির। আর দিয়েছেন আস্থার প্রতিদানও। সুতরাং সবমিলিয়ে বলা যায় আশরাফুলের আদর্শ একজন বদলী হিসেবেই দলে সুযোগ পেয়েছেন তিনি।