রোহিঙ্গাদের পর এবার সাধারণ বৌদ্ধ ও উপজাতিদের তাড়িয়ে দিচ্ছে মিয়ানমার। ইতোমধ্যে এদের অল্পসংখ্যক বাংলাদেশে প্রবেশও করেছে। কয়েকজনকে আবার সীমান্ত থেকে ফেরত পাঠিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা।
রাখাইন নতুন করে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ায় আরও বড় ধরনের অনুপ্রবেশ ঘটার আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার আবারও ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও কে জরুরি তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অনু বিভাগের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন এ বিষয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়, গত দেড় বছরে বাংলাদেশের শতচেষ্টা সত্ত্বেও একজন রোহিঙ্গাকে ফেরত না নিয়ে নতুন করে পরিকল্পিতভাবে রাখাইন অস্থিতিশীল করে দলে দলে বৌদ্ধ এবং উপজাতিদের বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে এমন পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে এখনই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরার অনুকূল পরিবশে নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান মিয়ানমারকে পূরণ করতে হবে, অন্যথায় যেকোনো অস্থিতিশলি পরিস্থিতির জন্য মিয়ানমারকেই দায় নিতে হবে।
গত ৪ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে বিবিসি বাংলা জানায়, রাখাইনে বৌদ্ধ বিদ্রোহীদের হামলা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সাতজন নিহত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবসে রাখাইনে বৌদ্ধ বিদ্রোহীরা চারটি পুলিশ পোস্টে হামলা চালায়। এ হামলায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্য নিহত হন।
এর আগে ২০১৭ সালে এই রাখাইনে ভয়াবহ সেনা অভিযানের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়।