আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে বিএনপিতে যোগদানের আহবান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
রিজভী আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতিনিয়ত বিএনপিকে উপদেশ দিচ্ছেন। সভা-সমিতি, মঞ্চ, গণমাধ্যম ও ব্রিফিংয়ে বিএনপির কি করা উচিত, বিএনপির পরিণতি কি হবে, বিএনপি নির্বাচন ভীতিতে ভুগছে, বিএনপি সংসদে যোগ দেবে ইত্যাদির নানা কথার খই ফোটাচ্ছেন প্রতিদিন।
তিনি বলেন, সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদের সাহেব শালীনতা, ভব্যতার গুনমান বিবেচনা না করে বিএনপির বিরুদ্ধে ক্রমাগত উপদেশের ভাঙ্গা টেপ রেকর্ড বাজিয়েই চলেছেন। মিডনাইট ইলেকশনের সরকারের মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদের সাহেব অ্যাকাউন্ট স্বেচ্ছায় বিএনপির উপদেষ্টা হতে চলেছেন। সুতরাং খামোখা আওয়ামী লীগে থেকে তার লাভ কি, বরং ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বিএনপিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ্য নেতা বলেন, বিএনপির দরজা খোলা আছে। এমনিতেই অনাচারের পাহাড়সম স্তূপে আওয়ামী নেতা কর্মীরা ভীতসন্ত্রস্ত। কখন কি হয় আতঙ্কে তাদের সারা দিন কাটে। বিভিন্ন এলাকায় তারা তলে তলে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখা শুরু করেছে। নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আওয়ামী নেতাকর্মীরা আসলেই উদ্বিগ্ন। ক্ষমতার বৃক্ষ উপরে যাওয়ার পর অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গভীর দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সে জন্য স্বেচ্ছায় বিএনপিতে উপদেষ্টার আসনে বসতে যাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের সাহেবসহ অন্য নেতারা।
রিজভী বলেন, আজ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতিহিংসা পূরণের সাজা দেয়ার এক বছর পূর্ণ হল। চরম অবিচার অন্যায় এর আঘাতে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়েছে। এটি ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার সাজা। এক ব্যক্তির অত্যুগ্র ক্ষমতার ক্ষুধা চরিতার্থ করতেই গণতন্ত্রকে চূড়ান্তভাবে কবরস্থ করার জন্য বেগম জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একজন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে এক বছর কারাগারে রাখার নজির পৃথিবীর কোথাও নেই। এটি অপরিসীম জনপ্রিয় জাতীয়তাবাদী নেত্রীর বিরুদ্ধে দেশী বিদেশী শক্তির নিষ্ঠুর প্রতিশোধের খেলা।
রিজভী বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তি আইন ও বিচার এর উপর নির্ভরশীল নয় এটি নির্ভরশীল শেখ হাসিনার মর্জির উপর। সুতরাং আইন আদালতকে প্রভাবিত করেই বেগম জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমরা এই মুহূর্তে তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহিদা রফিক, নজমুল হক নান্নু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।