আজ রবিবার সরস্বতী পূজা। হিন্দু ধর্ম বিশ্বাসে- সরস্বতী বিদ্যা, বাণী আর সুরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে শুভ্র রাজহংসে চেপে দেবী সরস্বতী আসেন জগতে।
শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে প্রতিমা স্থাপন করে পূজার আনুষ্ঠানিকতা সূচিত হয়েছে। চলবে রাত অবধি। সনাতন ধর্মীয় রীতিতে প্রত্যুষে দেবীকে দুধ, মধু, দই, ঘি, কর্পূর, চন্দন দিয়ে স্নান করানো হবে। এরপর চরণামৃত নেবেন ভক্তরা। সকাল ৯টার দিকে হবে বাণী অর্চনা। পুরোহিতরা ‘সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমল লোচনে/বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যংদেহী নমোহস্তুতে’ এ মন্ত্রে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনা করবেন, পূজার আচার পালন করবেন। এরপর ভক্তরা পুষ্পাঞ্জলি দেবেন।
হিন্দুদের বিশ্বাস, সরস্বতী খুশি হলে বিদ্যা ও বুদ্ধি অর্জিত হবে। প্রাচীন কালে তান্ত্রিক সাধকেরা সরস্বতী-সদৃশ দেবী বাগেশ্বরীর পূজা করতেন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে পাঠশালায় প্রতি মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে ধোয়া চৌকির উপর তালপাতার তাড়ি ও দোয়াতকলম রেখে পূজা করার প্রথা ছিল। শ্রীপঞ্চমী তিথিতে ছাত্ররা বাড়িতে বাংলা বা সংস্কৃত গ্রন্থ, শ্লেট, দোয়াত ও কলমে সরস্বতী পূজা করত। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে হিন্দু সমপ্রদায় বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা আজ বাণী অর্চনাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মন্দির ও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পূজা ছাড়াও অন্য অনুষ্ঠানমালায় আছে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি, আলোকসজ্জা প্রভৃতি।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
জাতীয় সংসদের উদ্যোগে ন্যাম ভবনের পাশে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। আজ রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ পূজা উদযাপন অনুষ্ঠানে যাবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এদিকে, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে সকাল ৬টায় প্রতিমা স্থাপন, ৯টায় স্তোত্র পাঠ, সকাল সাড়ে ৯ টায় পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, বেলা ১২টায় প্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যা ৬ টায় সন্ধ্যা আরতি এবং রাতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হবে।