নাঈম ইসলাম: কবি বলেছেন,
“কুহেলী ভেদিয়া, জড়তা টুটিয়া, এসছে বসন্ত।
নবীন আলোকে, নবীন পলকে, সাজিয়েছে ধরণী আজ”।
শীতের সকল জীর্ণতাকে কাটিয়ে অপরূপ সাজে প্রকৃতিতে এসেছে রূপের যৌবন। কুয়াশার পাতাঝড়া মর্মর ধ্বনিকে ছাপিয়ে গাছের ডালে ডালে ফুটেছে রঙিন ফুল আর সবুজ কচি পাতার বাহারী সৌরভ।
আগুনরঙা ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে শিমুল বাগান। রাঙা বধুর সাজে সেজে উঠেছে পলাশ বন। বনে বনে ফুটেছে হাজারো বুনোফুল। ডালে ডালে নতুন পাতা, বাতাসের সঙে বয়ে চলা সবুজ কচি পাতার ¯িœগ্ধতা জানান দেয় নতুন কিছুর। তাইতো কবির ভাষায়,
“আজ ভুবনের দুয়ার খোলা, রঙ লাগলে বনে বনে, ঢেউ জাগলে সমীরণে, দোল দিয়েছে বনের দোল- আজ পহেলা ফাল্গুন”
সারা বছর চোখের আড়ালে থাকা অভিমানি কোকিল পাখিটিও আজ প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ডাকছে কুহু কহু সুরে।
বসন্তের প্রথম দিনেই বাঙালী ললনারা বাসন্তী রঙে নিজেকে রাঙিয়ে তোলে। শিমুল আর পলাশের গল্প, কোকিলের মন মাতানো গান আর আমের কচি মুকুলের সৌরভ বইয়ের পাতায় পড়লেও এখনকার তরুণ-তরুণীরা আর এদিন ঘরের কোণে বসে থাকতে রাজি না।
বসন্ত তারণ্যেরই ঋতু। তাই সকাল থেকেই হলুদ আর বাসন্তী রঙের শাড়ি গায়ে জড়িয়ে নিজেকে সাজাতে ব্যস্ত তরুণীরা। তরূণরাও এদিন নিজেকে সাজাতে কম যান না।
১লা ফাল্গুন ঘিরে আজ ব্যস্ততা বেড়েছে পার্লার গুলোতে। বেচাবিক্রি বেড়েছে শহরের ফুলের দোকানগুলোতে। বসেছে অনেক ভ্রাম্যমান ফুলের দোকানও।