জামায়াতে ইসলামী একটি জঙ্গিবাদী সংগঠন ছিল। তারা নতুন নামে পুরোনো রূপে ফিরে আসে কি না, তাও এখন খতিয়ে দেখার বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতাকারী এবং জঙ্গিবাদী যে ধারণাগুলো আছে সেই ধারণা ও চিন্তাগুলো জামায়াতের। এ জন্য আরেকটি ভিন্ন নামে সংগঠন করার এটি একটি অপপ্রয়াস কি না—সেটিও আমাদের দেখা দরকার।
শুক্রবার জামায়াত থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। যুক্তরাজ্যের এসেক্স থেকে জামায়াতের আমির মকবুল আহমদের কাছে এক পত্র পাঠান ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি বিগত প্রায় দুই দশক ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে জামায়াতকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি,’ ৭১-এ দলের ভূমিকা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া উচিত এবং ওই সময়ে জামায়াতের ভূমিকা ও পাকিস্তান সমর্থনের কারণ উল্লেখ করে জাতির কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রীদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা।
চাঁদপুরের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগের বিষয়ে দিপু মনির প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পদত্যাগকালে তিনি যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলোকে স্বাগত জানাই। কিন্তু কথাগুলো কী উদ্দেশ্যে বলেছেন তা পরবর্তী কার্যক্রম দেখলে বোঝা যাবে।
ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পদত্যাগ ও জামায়াতের নতুন নামে তৎপর হওয়ার আলোচনার ব্যাপারে ডা. দীপু মনি বলেন, জামায়াতের মধ্যে জঙ্গিবাদে পৃষ্ঠপোষকতার এবং জঙ্গিবাদী যে ধারণাগুলো রয়েছে, তা অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক। তারা সেগুলোকে আদর্শ বলে ধারণ করে আরেকটি ভিন্ন নামে সংগঠন করার অপপ্রয়াস চালায় কি-না, সেটিও দেখার বিষয়।
চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নানা ধরনের অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে দীপু মনি আরও বলেন, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এ পর্যন্ত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। ছোটখাটো যে ব্যত্যয়গুলো ঘটেছে তা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে সে জন্যে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা নেবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জীবন কানাই চক্রবর্তী প্রমুখ।