বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে বাসা থেকে বের হন নাফিজ।
এরপর ২০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
নিখোঁজ নাফিসের স্বজনদের আশংকা বুধবার রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে তিনি নিহত হয়েছেন।
নিখোঁজ চাচার ছবিসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল মর্গ এবং জরুরি বিভাগ সংলগ্ন জরুরি মর্গে ছুটাছুটি করছেন নাফিসের ভাতিজি ফাতেমা।
নাফিসের ভাতিজি ফাতেমা জানান, ‘আগুন যেখানে লেগেছে চুড়িহাট্টা গলির সেখানেই এক ফার্মেসিতে চাচা ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন। আর ঠিক তখনই আগুন লাগে।’
তিনি বলেন, ‘আগুন লাগার ধ্বংসস্তুপের সব জায়গায় খুঁজেছি। কেউ আমার চাচার খোঁজ দিতে পারছে না। এখন চাচাকে খুঁজতে আর কোথায় যাবো বুঝতে পারছি না। ’
ছেলের খোঁজ না পেয়ে অসুস্থ দাদী (নাফিসের মা) আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানান নাফিসা।
এসময় বিমর্ষ হয়ে কেঁদে ফেলেন ফাতিমা।
তিনি বলেন, ‘যাকেই ছবি দেখাচ্ছি, সেই বলছে অপেক্ষা করেন ছবি ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।’
এদিকে নিহত ৭০ জনের মধ্যে ৪১ লাশ শনাক্ত করা গেছে। এর মধ্যে দুজন নারী, দুই শিশুসহ ৩৭ জন পুরুষ রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এই লাশগুলো শনাক্ত করা হয়।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী জানান, ‘৭০ জনের মধ্যে এখনো পর্যন্ত ৪১ জনকে চিহ্নিত করা গেছে। এর মধ্যে ১২ জনকে তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এসময় আগুনে পোড়া মৃতদেহ শনাক্ত করা চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন জাবেদ পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, ‘যেসব মৃতদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না সেগুলোকে নিখোঁজ বলেই ধরে নেয়া হয়েছে।’
এসব মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করে আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী।