অস্ত্র হাতে উঠে একাই ? উড়োজাহাজ জিম্মি করার চেষ্টা চালিয়ে নিহত এই যুবকের কী পরিচয়, তার উদ্দেশ্য কী ছিল, তার কিছুই জানা যায়নি। অভিযানের সময় ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল, তাতে পরিচয় বের করা গেছে কি না- সেই প্রশ্ন সাংবাদিকরা রেখেছিল অভিযান পরিচালনাকারীদের কাছে।
সেনা কর্মকর্তা মতিউর বলেন, ‘অল্প সময়ে তার সাথে যতটুকু কথোপকথন হলো, সে শুধু একটা দাবি করে আসছিল সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে এবং তার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে চেয়েছিল।’
‘তার সাথে আর কোনো কথা বলার সময় বা সুযোগ আমাদের ছিল না এবং আমরা যেহেতু দ্রুততর সময়ে অবসান ঘটাতে চেয়েছিলাম। তাই আমাদের কমান্ডো অভিযান চালানো হয়। ওই যুবক বিদেশি বলে খবর ছড়ানোর বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান নাঈম হাসান বলেন, ‘সে বাংলায় কথা বলছিল। সো ফার আমি জানি বাংলাদেশি।’
মেজর জেনারেল মতিউর বলেন, ‘তাকে প্রাথমিকভাবে দেখে আমাদের পাইলট মনে করেছিল বিদেশি, কিন্তু সে একজন বাংলাদেশি।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিল- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তা জানা যায়নি। সে কোথায় ছিল, তার ফোন নম্বরও দিতে পারেনি। তার আগেই তো অন্যান্য কথা …।’
‘সে হয়তো তার স্ত্রীর সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইল ফোনটা আমাদের দিত, তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা কত- তা জানা যায়নি। সে আমাদের কোনো ক্রু মেম্বারকে বলেছিল- তার নাম মাহাদি।’
যাত্রী হিসেবে তার তথ্য সংরক্ষিত থাকার কথা। সে বিষয়ে মেজর জেনারেল মতিউর বলেন, ‘তার ডিটেইল পাওয়া যাবে, কাগজপত্র ব্যাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, দেখার জন্য সময় লাগবে। কী করে সে ভেতরে চলে এল, তা দেখা হবে, এত দ্রুত হবে না।’ ছিনতাইকারীর কাছে শুধু একটি পিস্তল ছাড়া আর কিছু ছিল না বলে জানান তিনি।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সো ফার আমি জানি, তার কাছে একটা অস্ত্র ছিল। বলেছে গায়ে বোমা বা তার জড়ানো আছে। ওটা কী ছিল, সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’ ওই যুবকের আচরণ অসংলগ্ন ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সে ইমব্যালেন্স ছিল।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পরে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করানো হয়। বিজি-১৪৭ নং ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিলো।