নিজস্ব প্রতিনিধি: শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শেরপুরের ৫ দিন ব্যাপি বই মেলার আজ শেষ দিনেও ছিল পাঠকদের উপচেপড়া ভীড়। সোমবার দুপুরথেকেই বইপ্রেমীরা তাদের পছন্দের লেখকের বইটি নিতে ভীড়তে থাকে মেলায়।
মেলায় স্থানীয় কবি, লেখকদের বইয়ের চাহিদা ছিল বেশি।
স্থানীয় কবি রাবিউল ইসলামের “স্বচ্ছ ভালবাসা” মোঃ হানজালার “সূবর্ণ দিনও বিবর্ণ” অভিজিৎ চক্রবর্তীর “ভুল শব্দে আওড়ে গিয়েছি প্রার্থনা” তন্ময় সাহার “ডাক বাক্সের তলায় ধুলো” মোঃ রবিউল ইসলাম টুকু ” বুকের জমিনে বসতি” হাদিউল ইসলামের “আগুনের শিড়দাড়া” মুরাদ খানের “ছাড়পোকাগুলি জেগে আছে” আশরাফ আলী চারুর “নির্বাক জননী” র চাহিদা ছিল চোখে পড়ার মতো। আবার কেউকেউ প্রিয় কবির সাথে সেল্ফি তুলতে কিংবা অটোগ্রাফ নিতে ভুল করেনি।
মেলায় আসা তাবাসসুম মৌ বলেন, কলেজের ক্লাস শেষে বান্ধবীদের সাথে নিয়ে এসেছি। আমরা রাবিউল স্যারের “স্বচ্ছ ভালবাসা” ও অভিজিৎ চক্রবর্তীর “ভুল শব্দে আওড়ে গিয়েছি প্রার্থনা” সহ দশটি বই কিনেছি।
আইডিয়াল প্রিপারেটরি এন্ড হাইস্কুলের ছাত্র সাদ বলেন, রবিউল ইসলাম টুকু স্যারের “বুকের জমিনে বসতি” ও মোঃ হানজালার “সূবর্ণ দিনও বিবর্ণ” বইসহ আমি চারটি বই নিলাম।
কবি মোঃ হানজালা বলেন, “সূবর্ণ দিনও বিবর্ণ” কাব্যের কবিতাগুলো লিখতে গিয়ে আমি কখনো হয়েছি আবেগী, কখনো প্রেমিক, আবার কখনো কর্মজীবী। মেলায় বইপ্রেমীদের উপস্থিতিই প্রমাণ করে আমরা বইমেলাকে কতটুকু ভালবাসি।
কবি অভিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, বই মেলা পাঠক-শিক্ষার্থীদের মাঝে যেন নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে।
উল্লেখ্য, ২১ শে ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক ডিসি উদ্যানে ৫ দিনব্যাপী এই বইমেলার উদ্ভোদন করেন।