কেরোসিন ঢেলে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালের রিনা বেগম (৪৫) নামে এক আয়াকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে হেমায়েতপুরের জয়নাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিনা বেগম (৪৫) ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে আয়ার কাজ করতেন। তিনি হেমায়েতপুরের জয়নাবাড়ি এলাকার শামসুল হকের মেয়ে।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে স্বামী শহিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। শহিদুল ইসলাম আগের স্ত্রীকে নিয়ে রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে আয়ার কাজ করতেন রিনা। এ সময় তার সঙ্গে ওই হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মী শহিদুল ইসলামের পরিচয় হয়। এর পর ২০১৬ সালে তারা বিয়ে করেন।
নিহতের বোন রিপা বেগমের অভিযোগ, বিয়ের পর বিভিন্ন সময় ব্যবসার কথা বলে রিনার কাছ থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা নেন শহিদুল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েকবার কলহও হয়েছে।
এর জেরে বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে শহিদুল রিনাকে পিটিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে রিনা নিজেই শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে মসজিদে পানির জন্য ছোটাছুটি করতে থাকেন স্বামী শহিদুল।
পরে রিনাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে তার আগেই শহিদুল হাসপাতাল থেকে গা ঢাকা দেয় বলে অভিযোগ করেন বোন রিপা।
ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম নবী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
সূত্র: যুগান্তর