সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হৃদযন্ত্র স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। তিনি কথা বলতে পারছেন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ডা. ফিলিপ কোহ।
মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছে, ওবায়দুল কাদেরের হৃদযন্ত্রে স্থাপিত আইওবিপি মেশিন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কৃত্রিম সাপোর্ট ছাড়াই তার হৃদযন্ত্র স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে। তার শরীরের ইনফেকশনও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
গতকাল দুপুরে মেডিক্যাল বোর্ডপ্রধান ডা. ফিলিপ কোহকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ও নিওরোলজিস্ট প্রফেসর ডা. আবু নাসার রিজভী। পরে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
ডা. রিজভী বলেন, কাদেরের কিডনি আগের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছে। ঘুমের ওষুধের পরিমাণও কমিয়ে আনা হয়েছে। তিনি চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন। তিনি আরও জানান, ইনফেকশন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং কাদেরের শারীরিক অবস্থার অগ্রগতি হয়েছে।
এর আগে দুপুরে তৃতীয় দিনের মতো ব্রিফ করেন ডা. ফিলিপ কোহ। এতে উপস্থিত ছিলেন কাদেরের সহধর্মিণী বেগম ইশরাতুন্নেসা কাদের, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন, সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান ও ডা. আবু নাসার রিজভী। পরে ডা. রিজভী হাসপাতালের লবিতে সমবেতদের ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসাবিষয়ক অগ্রগতি অবহিত করেন। আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় ডা. ফিলিপ আবার ব্রিফ করবেন বলে জানান রিজভী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন হাজারী এমপি, সংসদ সদস্য ছোট মনির, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।
গত রবিবার সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে। চিকিৎসকরা জানান, ওবায়দুল কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে। এর মধ্যে একটিতে রিং পরানো হয়।