সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আলোচিত স্কুলছাত্রী মুন্নি হত্যাকাণ্ডে এক বখাটের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। বুধবার সকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ রায় দেন দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার।
দণ্ডপ্রাপ্ত এহিয়া সরদার দিরাই উপজেলার সাতিকপুর এলাকার জালাল মিয়া সরদারের ছেলে।
জানা গেছে, নিহত হুমায়রা আক্তার মুন্নি দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ঘটনার কিছুদিন আগে আসামি এহিয়া সরদার বন্ধু তানভির চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে মুন্নিকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্ত্যাক্ত করতো এবং প্রেমের প্রস্তাব দিতো। এনিয়ে এলাকায় স্থানীয়ভাবে পঞ্চায়েতে বিচার হলে এহিয়া সরদার মুন্নিকে আর বিরক্ত করবে না বলে অঙ্গিকার করলেও সেটা বন্ধ করেনি।
২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর মুন্নি বাসায় পড়াশুনা করছিল। এমন সময় এহিয়া সরদার বাসায় ঢুকে মুন্নির বুকে ও পেটে ছুরি দিয়ে মারাত্মকভাবে যখম করে। এ সময় মুন্নির চিৎকারে তার মা বেরিয়ে এলে এহিয়া তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মুন্নি মারা যায়।
এ ঘটনার দু’দিন পর নিহতের মা রাহেলা বেগম বাদী হয়ে বখাটে এহিয়াসহ দুইজনকে আসামি করে দিরাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে শুধু এহিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
এ ব্যাপরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ড. মো. খায়রুল কবির রুমেন বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আলোচিত এই খুনের রায় প্রদান করা হয়েছে। ঘাতক এহিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।