নিউজিল্যান্ডে মর্মান্তিক সন্ত্রাসী হামলায় এখন পর্যন্ত সাত বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছে।
হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছেন দুইজন। তারমধ্যে একজন নারীর বুকে গুলি ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। আরেকজনের পায়ে গুলি লেগেছে, তার সেই পা কেটে ফেলতে হয়েছে।
শনিবার অকল্যান্ডে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল শফিকুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অকল্যান্ডে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল জানান, ঘটনা পর থেকে নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশি কমিউনিটির লোকজন খবর নেয়া হয়েছে, তার মধ্যে সাত জনকে ফোনে পাওয়া যায়নি। গতকাল তারা ঘটনাস্থলে ছিলেন। আমাদের আশঙ্কা, হয়তো এ সাতজন মারা গেছেন।
শফিকুর রহমান আরো বলেন, আমরা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে জানি না, কতজন মারা গেছে, কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। মৃতদেহগুলো ঘটনাস্থলেই রয়েছে আজই জানতে পারবো।
শফিকুর রহমান বলেন, শুনেছিলাম ডা. সামাদের স্ত্রী মারা গেছেন, তবে তিনি বেঁচে আছেন আর তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, ডা. সামাদ যে বেঁচে নেই, আনুষ্ঠানিকভাবে এটি তাকে এখনও জানানো হয়নি।
গতকাল নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে নারী, শিশুসহ ৪৯ জন মুসল্লিকে হত্যা করা হয়। ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদের ৪১ জন এবং লিনউডের আরেকটি মসজিদে আট মুসল্লি। এই সন্ত্রাসী হামলার সময় আল নূর মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। তারা মসজিদে ঢোকার কিছুক্ষণ আগে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। ফলে অল্পের জন্য বেঁচে যান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।