ভাষা সৈনিক ও বিশিষ্ট আইনজীবী ওসমান গণি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৬ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ছাত্র ছিলেন ওসমান গণি। ছিলেন ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিনের অন্যতম সহযোগী। ১৯৫২ সালে মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠায় ভাঙেন ১৪৪ ধারা। তবে ভাষার জন্য লড়াই করা এই বীর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পাননি একুশে পদক কিংবা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা।
ওসমান গণি সমাজসেবক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রোববার বাদ আসর এই মহান ভাষা সৈনিকের জানাজা শেষে শহরের রেহাইচর ঈদগাহ কবরস্থানে দাফন করা হবে। দুই সপ্তাহ আগে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ভাষা সংগ্রাম কমিটির অন্যতম এই সদস্যকে।
ওসমান গণির মৃত্যুতে বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।