শেরপুরের নালিতাবাড়ীত গ্যাস সংযোগ না থাকায় এবং লাকড়ির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে সিলিন্ডার গ্যাসের চাহিদা। এই চাহিদাকে পুঁজি করে পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা।
সম্প্রতি রাজধানীর চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর ঝুঁকিপূর্ণভাবে সিলিন্ডার বিক্রির বিষয়টি ফের আলোচনায় উঠে এসেছে। নালিতাবাড়ী উপজেলার মুদি দোকান, ওষুধের দোকান, লন্ড্রির দোকান ও সিমেন্ট বিক্রির দোকানসহ ফুটপাতের ছোটখাটো দোকানেও বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। প্রতিটি দোকানেই অন্যান্য জিনিসপত্রের পাশাপাশি পাঁচ থেকে ২০টি সিলিন্ডার রাখা হয় বিক্রি জন্য। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী জ্বালানিকাজে ব্যবহার্য সিলিন্ডার গ্যাস কোনো আবাসিক এলাকা বা মার্কেটে বিক্রি করা নিষিদ্ধ। গ্যাস সিলিন্ডার রোদে না রাখা, নিরাপদ দূরত্বে সিলিন্ডার মজুদ করা এবং উপর থেকে সিলিন্ডার নিচে না ফেলার নির্দেশনাও রয়েছে। এ ছাড়াও এই সিলিন্ডার বিক্রি করতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াও বিস্ফোরক পরিদফতরের লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিতে হয়। তবে এসব নির্দেশনা আর নিষেধাজ্ঞা মানছেন না এখানকার ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্যাস সিলিন্ডার ডিলাররা ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করলেও খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা শুধু ট্রেড লাইসেন্স বা ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই কেউ কেউ ব্যবসা করছেন। বিস্ফোরক আইন ১৮৮৪-এর বিধির ৭১ নম্বর ধারায় বলা আছে, আগুন নেভানোর জন্য স্থাপনা বা মজুদাগারে যথেষ্ট পরিমাণে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম মজুদ রাখতে হবে। এ আইন অমান্য করলে ওই ব্যবসায়ী ন্যুনতম দুই বছর এবং অনধিক পাঁচ বছরের জেল এবং অনধিক ৫০ হাজার টাকার অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন এবং অর্থ অনাদায়ী থাকলে অতিরিক্ত আরও ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ডের বিধান রয়েছে।
এ ব্যাপারে আড়াইআনী বাজারের গ্যাস সিলন্ডার ব্যাবসায়ী মুখলেছুর রহমান মানিক জানান, অনেকেই বৈধ লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করছিল। লাইসেন্স না থাকায় ব্যাবসা থেকে সড়ে যাচ্ছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, অবৈধভাবে যারা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।