চুয়াডাঙ্গায় সদর উপজেলায় বিদেশে লোক পাঠানোর টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে বড়ভাইয়ের হাতে ছোটভাই খুন হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শাহাপুর গ্রামে এ খুনের ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন আহমেদ একই গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে আতিয়ার রহমানসহ তিন ছেলে সৌদি প্রবাসী।
আতিয়ারের মাধ্যমে আবদুল কাদের বিদেশে লোকজন পাঠান। কয়েক বছর আগে ৫ লাখ টাকা নিয়ে ছোটভাই সুজনকেও সৌদি পাঠান তিনি। কিন্তু সেখানে ভালোমানের কাজ না পেয়ে ফেরত আসেন সুজন।
বাংলাদেশে ফিরে এসে সুজন টাকা ফেরত চান বড়ভাই আবদুল কাদেরের কাছে। এ নিয়ে প্রায়ই গণ্ডগোল হতো তাদের মধ্যে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সুজন ও তার স্ত্রী চুলার পাড়ে বসে ভুট্টা ভেজে খাচ্ছিলেন। এ সময় বড়ভাই কাদেরের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বড়ভাই আবদুল কাদের ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান ছোটভাই সুজনের ওপর। তাকে উপর্যুপরি ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন তিনি।
গুরুতর অবস্থায় সুজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে রাত সাড়ে ১০টার দিকে জরুরি বিভাগের ডা. আউলিয়ার রহমান সুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল খালেক জানান, রাতেই সদর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন সুজনের হত্যাকারী বড়ভাই আবদুল কাদের। সুজনের মৃতদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
বুধবার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে। থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।