বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, পরিচালক, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
এই লোকটিকে বদলি করার জন্য ময়মনসিংহের বেসরকারী হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার গুলো একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য নাকি তারা ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা ফান্ড গড়ে তুলেছে গোপনে, ঘুষ হিসেবে এই ফান্ড ব্যবহার করা হবে তাকে বদলির জন্য৷
এরকম খবর পেয়ে, ময়মনসিংহবাসী রাস্তা অবরোধ করে তার বদলি ঠেকানোর জন্য, তার অপরাধ তার সততার সহিত ভালো কাজের জন্য, ময়মনসিংহের বেসরকারী হাসপাতাল, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার এবং ঔষধ ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে!
তার অপরাধ:
》যেকোন ধরনের ঔষধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে! আর কোন ঔষধ না পাওয়া গেলে, তার নাম্বার দেওয়া আছে, তাতে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে
》সব ধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষার ব্যবস্থা হাসপাতালেই করা হয়েছে, যাতে করে ঔষধ বা কোন পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য রোগীদের হাসপাতালের বাইরে যেতে না হয়
》তার অপরাধ, হাসপাতালকে পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে!
》বেশির ভাগ হাসপাতালে এপ্রোন পড়া না থাকলে বুঝা যায় না, কে ডাক্তার! কে নার্স! কে ঝাড়ুদার! কে কর্মকর্তা! কে দালাল! তার অপরাধ, সবার আইডেন্টিটি নিশ্চিত করা হয়েছে৷
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের দায়িত্ব নেওয়ার পর, তার ভালো কাজের অল্প কিছুই তুলে ধরা হয়েছে৷ আজ তার কাজের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসা সেবার জন্য, সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, অনুকরণীয় এবং অনুসরণীয়৷
দেশ পরিবর্তনের জন্য শুধু সরকার না, সরকারের সাথে এরকম সৎ, নির্মোহ মানুষও খুব দরকার৷