অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, মোৎজার্ট, বিল গেটসের মতো মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়, যারা অটিজমের বাধা টপকেও সফল। অটিজম থেকে পুরোপুরি মুক্তি মেলে না। কিন্তু এর সঠিক চিকিৎসা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রোগীকে স্বাভাবিক জীবনের কাছাকাছি নিয়ে আসা যায়। সব কিছুর আগে জানা উচিত অটিজমটা আসলে কী। আর এ সম্বন্ধে যত বেশি সচেতনতা তৈরি করা যাবে ততই ভালো।
আসলে অটিজম একটি জটিল নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার। এ রোগ একেবারেই বিরল নয়। অনেক শিশুই অটিজম নিয়ে জন্মায়। তবে বিশ্বব্যাপী মেয়ে শিশুদের তুলনায় চেয়ে এই রোগে বেশি শিকার ছেলে শিশুরা।
অটিজম হলে যে সমস্যা হয়: কথাবার্তা বলা, সামাজিক মেলামেশা ও স্বাভাবিক মানসিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে (বুদ্ধি ব্যাহত হয় না) তৈরি হয় অন্তরায়। অথচ বৌদ্ধিক ও অন্যান্য গুণাগুণের বিচারে কোনও ফারাক থাকে না আর পাঁচ জনের সঙ্গে।
উপসর্গ:
১. অতি-ঘনিষ্ঠ ছাড়া মেলামেশা নয়।
২. বয়সের নিরিখে অনেক দেরিতে কথা বলতে শেখা।
৩. চোখে চোখ রেখে কথা বলতে না-পারা।
৪. একই কথা বা কাজ বার বার আওড়ে চলা বা করা।
৫. কারও শরীরী ভাষা, ইশারা, ইঙ্গিত, মুখের ভঙ্গির মানে না বোঝা।
৬. একঘেয়ে রুটিনে আসক্তি। রগচটা ব্যবহার। রোজনামচা বা পরিবেশের সামান্য পরিবর্তনেই রাগ।
৭. বহির্জগৎ সম্পর্কে উদাসীনতা, যন্ত্রণা ও উত্তাপকে গ্রাহ্য না করা, নির্দিষ্ট শব্দ ও গন্ধ সম্পর্কে অতিসংবেদনশীলতাও এই রোগের উপসর্গ।