ব্যতিক্রম একটা কিছু হলেই আমরা ট্রল করতে কৃপণতা করিনা। যৌক্তিক দাবি নিয়ে রাস্তায় নামা আমাদের অধিকার৷ কিন্তু গরমের বিরদ্ধে লুঙ্গি প্রতিবাদ এটা কেমন প্রতিবাদ। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে সিঙ্গেলদের ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মিছিল এটা কেমন।
স্কুলে বা কলেজে পড়াশোনার সময় অভিবাবকেরা বলে, মা-বাবা একটু কষ্ট করে বেশি বেশি পড়। আর তা না হলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স হবেনা। স্কুল-কলেজের একজন শিক্ষার্থী কিংবা অভিবাবকদের কাছে অনেকটা স্বপ্নের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।
আর আজ স্বপ্নের এ জায়গাটিতেই এ ধরনের প্রতিবাদ!
“গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান” পুরোনো এই বাক্যটি কাজে লাগাতে পারছি কি। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমরা কি রেখে যাচ্ছি। নিরাপদ আবাস কিংবা নিরাপদ সমাজ।
একটু ভিন্নভাবে দেখুন, তাদের প্রতিবাদ কিংবা মিছিলটি কতটুকু যুক্তিযুক্ত। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কি বার্তা দিবে তাদের এই মিছিলটি আর এটা দেখে কি শিক্ষা নেবে তারা।
গরমের প্রতিবাদটা যদি “বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি” পালন করার মধ্য দিয়ে হয় তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম কি বার্তা পাবে।
উল্লেখ্য, তীব্র গরমে প্যান্টের উপর লুঙ্গি পরে রাস্তায় নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় টুকিটাকি চত্বর থেকে লুঙ্গি পরে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মোঃ নাঈম ইসলাম, শেরপুর সরকারি কলেজ।