নিজস্ব প্রতিনিধি; তিনবারের কৃষিমন্ত্রী হলেও শেখ হাসিনার বর্তমান মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি বেগম মতিয়া চৌধুরী। একজন সাধারণ মানুষের মতোই তিনি যাত্রীবাহী নিলয় বাসে নিজ নির্বাচনী এলাকায় এলেন এবং সাদিকা পরিবহনে ঢাকায় ফিরে গেলেন। শেরপুর-২ (নালিতাবাড়ী-নকলা) আসনে তিনি পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হওয়ার দুই মাস পর প্রথম নির্বাচনী এলাকায় এলেন।
এর মধ্যে ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। রবিবার তার আসার খবর পেয়েই দ্বিধাবিভক্ত আওয়ামী লীগের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থক ভিড় করেন তারগঞ্জ উত্তরবাজারের আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও তৎসংলগ্ন রাস্তায়।
রাস্তার দুই পাশের উপচে পড়া ভিড় ঠেলে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেই দুই মাস পর আসার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, এখানে নিয়ম না মানার নিয়ম চালু হয়েছে। ২০১৪ সালে যিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন, তিনি বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে পাস করতে পারেননি। পাস করেছিল বিএনপির প্রার্থী। এবারও নিয়ম না মেনে নৌকার প্রার্থীকে ঠেকাতে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী থাকায় জয়ী হয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থী। যারা নিয়ম না মানার সংস্কৃতি চালু করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারম্যান যেমন আমার বৈধ সহযোগিতা পেয়েছেন, বর্তমান চেয়ারম্যানও তাই পাবেন। কাজেই রেষারেষি বন্ধ করে এলাকায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান সৃষ্টির নির্দেশ দেন। এ ছাড়াও তিনি শেখ হাসিনা ও তার জন্য দোয়া চান সবার কাছে।
মতিয়া চৌধুরী ২৯ মার্চ রাতে ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে রাত ১১টায় নিলয় নামে একটি নালিতাবাড়ীগামী বাসে ওঠেন। রাত ৩টার দিকে নকলায় পৌঁছান এবং রাত-যাপন করেন।
দুপুর ১২টায় নকলা চন্দ্রকোনা রাজলক্ষ্মী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে এ অনুষ্ঠান শেষে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দিনভর মতবিনিময় করেন। রবিবার সকাল ১০টায় একটি ভাড়া করা মাইক্রোবাসে নালিতাবাড়ী এসে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রেখে বেলা ২টায় শেরপুর থেকে ঢাকাগামী বাস সাদিকায় উঠে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।