নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছয় সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার উত্তর বাগ্গা গ্রামের রুহুল আমিনের মৎস্য খামারে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহত অবস্থায় নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
নির্যাতিতা নারীর অভিযোগ, ৩১ মার্চ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট চলছিল। তিনি ও তার স্বামী চশমা প্রতীকের প্রার্থী তাজ উদ্দিন বাবরকে ভোট দেন। সন্ধ্যায় তিনি ও তার স্বামী মোটরসাইকেল যোগে বাগ্গা গ্রামে নিজেদের বাড়ি যাওয়ার পথে তালা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক ইউসুফ মাঝির নেতৃত্বে ১০-১২জন তাদের মারধর করে। এক পর্যায়ে বেচু মাঝি, বজলু ও আবুল বাসার ওই নারীকে পার্শ্ববর্তী রুহুল আমিনের মৎস্য প্রজেক্টে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় তার স্বামীর চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। নির্যাতিতাকে দেখতে হাসপাতালে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খিষা। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্যাতিতার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে সুবর্ণচরের একটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর পর, স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ও ছেলেকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে বখাটেরা। এ ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে সুবর্ণচর থানায় মামলা করেন গৃহবধূর স্বামী। পরে কুমিল্লা থেকে প্রধান আসামি সোহেলকে এবং নোয়াখালী থেকে আরো দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।