কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তৌফিকুর রহমান মিলনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে দেবালয় গ্রামের বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শিক্ষক ওই গ্রামের অধিবাসী তছর উদ্দিন আহমেদের পুত্র।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক তৌফিকুর রহমান মিলন (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে কিসামত পাইকপাড়া গ্রামের অধিবাসী ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়াসহ নানা ধরণের অশালীন আচরণ করে আসছেন। পাশাপাশি সুযোগ পেলে অন্যান্য ছাত্রীদের সাথেও অশালীন করে আসছে।
এ অবস্থায় গেল ১৬ মার্চ দুপুরে শ্রেণীকক্ষে অন্য কোনো শিক্ষার্থী না থাকার সুযোগে দেবালয় গ্রামের ওই ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়াসহ নানাভাবে যৌন হয়রানী করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। ছাত্রীটি কৌশলে সেখান থেকে বের হয়ে অভিভাবকদের ঘটনাটি জানায়।
পরবর্তীতে ২৫ মার্চ ওই শিক্ষকের অশালীন আচরণের প্রতিকার চেয়ে ২০ জনের মতো অভিভাবক লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় ছাত্রীটির পিতা বাদী হয়ে সোমবার (১ এপ্রিল) থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঘটনা তদন্তের জন্য সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) তদন্তের জন্য তার ওই বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই মামলা এবং গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃঞ্চ কুমার সরকার মামলা দায়ের এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত চলছে।