পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নে এক স্কুলছাত্রী (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওই মেয়েটিকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মেয়েটির মা জানায়, বাড়ির সামনে তার একটি দোকান আছে এবং তার স্বামী একটি স’মিলে কাজ করে। এই দুই জনের আয় দিয়েই তাদের সংসার চলে। তাদের মেয়ে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়ে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে ওই স্কুলছাত্রী ঘরে একা বই পড়ছিল। এ সময় তার মা দোকানে ছিল। এই সুযোগে স্থানীয় আউয়াল মোল্লা এর ছেলে আইবান মেয়েটির মুখ বেঁধে পার্শবর্তী একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে তাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকে পরিবারের সদস্যরা। অনেক খোঁজাখুটির পর বাড়ির পার্শবর্তী একটি বাগান থেকে তাকে মুখ বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তাকে সদর থানায় নিয়ে গেলে, সেখান থেকে পুলিশ তাকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনার পর সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শেখ এ্যানী রহমান, পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম জিয়াউল হক হাসপাতালে ছুটে যান।
তবে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও হাসপাতালে কোন গাইনি ডাক্তার না পেয়ে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
এদিকে অভিযুক্তকে ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।