কুষ্টিয়ার মিরপুরের আলোচিত স্কুলছাত্রী চাঁদনী আক্তার মুন্নী (১৫) আত্নহত্যায় প্ররোচনাকারী ৩ বখাটেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার সময় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রাগপুর থেকে তাদের আটক করে মিরপুর থানা পুলিশ। তারা পালিয়ে ঢাকায় যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।
আটককৃতরা হলো মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের কাতলামারী গ্রামের তাহাজ উদ্দিনের ছেলে নাহিদ হাসান রাজু (২১), রেজন আলীর ছেলে আঙ্গুর রাজ (২০) ও মৃত আনছার আলীর ছেলে মিঠুন (২২)।
উল্লেখ্য, উপজেলার কেবিএইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী চাঁদনী আক্তার মুন্নী (১৫) গত ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে তার চাচাতো বোনের বিয়ে উপলক্ষে পাশ্ববর্তী আমলা বাজারে ফুল কিনতে যায়। পথিমধ্যে এলাকার ৫ বখাটে হাশেম রাজের ছেলে জয়নাল (২২), আনছের রাজের ছেলে মিঠুন (২২), রেজন আলীর ছেলে আঙ্গুর রাজ (২০),তাহাজদ্দিন রাজের ছেলে রাজু(২১) এবং আফতার আলীর ছেলে পারভেজ (২২) জোরপুর্বক পাশের আমলা আলু বীজ খামারে নিয়ে যায়। তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে স্থানীয় ক্যাম্প ইনচার্জ মুন্নীকে উদ্ধার করে স্থানীয় মহিলা মেম্বার রেজেলা খাতুনের সঙ্গে বাড়িতে পাঠায়। পথের মধ্যে বখাটেরা মেম্বারকে হুমকি দিয়ে অটোরিকশা থামিয়ে মুন্নীকে পার্শ্ববর্তী ছাদিমনের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় তার ওপর শারিরীকভাবে নির্যাতন করা হয়।
বাড়ি ফিরেই চাচার বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মুন্নী। পরে তার পড়ার টেবিলে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে বখাটেদের অত্যাচারের বিষয় তুলে ধরে সে। মুন্নি উপজেলার কাতলমারি গ্রামের হেকমত আলী ভাষার মেয়ে।
এ ঘটনায় মুন্নীর বাবা নির্যাতনকারী ৫ বখাটের নামে মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২২,তাং ২৮/০৩/২০১৯।
গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম বলেন,মামলার বাকি ২ আসামিকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।