বিয়ে এবং কাবিন ছাড়াই দীর্ঘ নয় বছর ধরে সংসার করছেন তরুণ-তরুণী। অবশেষে লঞ্চযোগে গ্রামের বাড়ি থেকে আসার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন এই প্রেমিক যুগল।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। আটক তরুণের নাম রিপন হোসেন মন্ডল। তবে আটক তরুণীর নাম জানায়নি পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে আটক রিপন হোসেন মন্ডলকে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। রিপন মন্ডল কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মৃত দবির মন্ডলের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফি বলেন, সোমবার বিকেলে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে রিপন হোসেন মন্ডলের সঙ্গে এক তরুণীর ঝগড়া হচ্ছিল। দীর্ঘক্ষণ তারা একে-অপরের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করছিল। বিষয়টি তখন লঞ্চঘাটে কর্তব্যরত পুলিশের নজরে আসে। এ সময় তাদের কাছে তর্ক-বিতর্কের কারণ জানতে চায় পুলিশ। তখন পুলিশের কাছে এসে তরুণী অভিযোগ করেন, দীর্ঘ নয় বছর আগে মৌলভীর মাধ্যমে কাবিন ছাড়াই তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু তার কাছে বিয়ের কোনো কাগজপত্র নেই। এখন তাকে অস্বীকার করছেন রিপন হোসেন মন্ডল।
ওসি আরও বলেন, তরুণী জানিয়েছেন তাদের দুজনের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। সোমবার বিকেলে কুষ্টিয়া থেকে বাসযোগে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে এসে নামেন তারা। সেখান থেকে লঞ্চযোগে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। গন্তব্য ছিল ঢাকা। কিন্তু দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে নামার আগে বিয়ে ও কাবিনের বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে নেমে বিয়ে ও কাবিন রেজিস্ট্রি করার কথা বললে তরুণীর ওপর ক্ষিপ্ত হন রিপন মন্ডল। একপর্যায়ে তরুণীর ওপর চড়াও হন তিনি। বিষয়টি নজরে এলে রিপন মন্ডলকে আটক করে পুলিশ।
ওসি এজাজ শফি আরও বলেন, তাদের দুজনের বাড়ি কুষ্টিয়ায় হওয়ায় এ-সংক্রান্ত অভিযোগ ও মামলা গ্রহণের বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারবহির্ভূত। তাই রিপন মন্ডলকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালত পাঠানো হয়েছে। তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন আদালত। একই সঙ্গে তরুণীকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তরুণীর পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। তরুণীকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।