নিজস্ব প্রতিনিধি; টানা এক সপ্তাহের প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরমে শেরপুরের মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। কোথাও যেন মিলছে না স্বস্তি। এতে পিপাসার্ত হয়ে মানুষ আখের রসে তৃপ্তির ভরসা খুজে পাচ্ছেন। তাই ভীড় বেড়েছে আখের রসে।
সামিদুল মিয়ার আখের রস। মেশিন মারা শেষ না হতেই ফুরিয়ে যাচ্ছে তার মগের সংরক্ষিত রস। প্রতি গ্লাস বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলার নালিতাবাড়ীর ব্রিজের উপরে এ রস বিক্রি করেন তিনি।
সামিদুল মিয়া বাড়ি থেকে আখ গুলোর ছাল তুলে পরিষ্কার করে নিয়ে আসেন। সেই আখ শ্যালো মেশিন চালিত গাড়িতে করে আখ মারাই মেশিনসহ পথে বেড়িয়ে পড়েন তিনি। চাওয়া মাত্রই আখ থেকে রস সংগ্রহ করে তুলে দেন পিপাসার্তদের হাতে।
পরিস্কার আখ থেকে স্বচ্ছ ও ঠান্ডা রস নিতে এসেছেন ৩য় শ্রেনীর শিক্ষার্থী তাবাসসুম জুঁই। জুঁই বলেন আমি প্রতিদিন বোতলে করে রস বাসায় নিয়ে যায়।
এছাড়াও প্রখর রোদে পিপাসা নিবারণে পথের পাশে এমন আখের রস দেখে দাড়াচ্ছেন অনেকেই এক গ্লাস ঠান্ডা রসের স্বাদ নিতে।
রস নিতে আসা সাদ্দাম হোসেন বলেন, গরমে বাইরে বের হলেই অস্বস্তি লাগে। নলকুপের পানিতে তৃষ্ণা মেটে না। আর আখের রস খেলে একটু ভালো লাগে। আবার অনেকক্ষণ আরামে থাকা যায়।
ব্রিজ পাড়ের মৌসুমি রস বিক্রেতারা বলেন, ভাল বিক্রি ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা লাভ হয়। তবে আখের দাম বেশি হওয়ার লাভ একটু কম হয়।